শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে: শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে না এমন দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন চুক্তির ৭২ শর্তের ৪৮টি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৫টি শর্তেরও আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি ৯টি শর্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে নানা কথা বলে অনেকে পাহাড়িদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। পাহাড়িরা সহজ-সরল প্রকৃতির। সেই সুযোগে তাদের নানা বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে তাদের উসকে দেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২ দশক পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবন থেকে তিন পার্বত্য জেলাবাসীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিদিন খুন-খারাবি এবং রক্তপাতের ঘটনা ঘটত। কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য অতীতের কোনো সরকার উদ্যোগ নেয়নি। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, মাত্র কয়েক দফা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদন করতে পেরেছি। এ চুক্তির ফলে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে এবং ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীতে এ ধরনের চুক্তি অনেক হয়েছে। একমাত্র আমরা এত কম সময়ের মধ্যে চুক্তির প্রায় অধিকাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

পার্বত্যবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংঘাতে অশান্ত থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিল। তাই পিছিয়ে পড়া পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের ধারায় আনতে আমরা ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছি। রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণ করে দুর্গম অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে রাঙ্গামাটিতে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। উপজাতীয়দের নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতাল নির্মাণসহ চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সবচেয়ে জটিল সমস্যা হল ভূমি। এ কারণে তা বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। এরই মধ্যে পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের জটিল ধারাগুলো সংশোধন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি চিংহ্লামং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খান, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, ফিরোজা বেগম চিনু, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ