আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনজি গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় জানানো হয়েছে যে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৮০ কোটি কর্মসংস্থান চলে যাবে রোবটের হাতে। রোবোটিক অটোমেশনের কারণে চাকরি হারাবে ৮০ কোটি মানুষ।
প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। এতে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবী হিসেবে মানুষের প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। বাংলাদেশেই এখন রেস্তোরাঁয় চালু হয়েছে রোবট–সেবা। খাবার পরিবেশনে কাজ করছে রোবট।
ম্যাককিনজি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৪৬টি দেশের ৮০ কোটি কর্মসংস্থান চলে যাবে রোবটের হাতে। উন্নত দেশ, বিশেষ করে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ কর্মক্ষম মানুষকে নতুন চাকরির চেষ্টা করতে হবে। মেশিন অপারেশন ও খাদ্যকর্মী হিসেবে রোবট নিয়োগ হবে বেশি।
তবে দরিদ্র দেশগুলোতে যাদের অটোমেশনে বিনিয়োগের ক্ষমতা কম, তাদের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না।
ম্যাককিনজি বলছে, ভারতের ৯ শতাংশ কর্মসংস্থানের ওপর অটোমেশনের প্রভাব পড়বে। ২০৩০ সাল নাগাদ উন্নত দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের হার বেড়ে যাবে।
কারণ, যেসব কাজে বেশি শিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, সেসব কাজ সংকুচিত হবে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রে চার থেকে সাত কোটি চাকরি বাতিল হয়ে হবে। যার মধ্যে কেবল দুই কোটিকে অন্য শিল্পে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ চাকরির ওপর প্রভাব পড়বে।
এর আগে গত আগস্টে প্রকাশিত অক্সফোর্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সমীক্ষায় বেরিয়ে আসে, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে মানুষের নানা ধরনের কাজের নিয়ন্ত্রণ নেবে রোবট।
তথ্যপ্রযুক্তি যেমন সুপারসনিক গতিতে এগোচ্ছে, এতে ২০৬৬ সালের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডে মানুষকে টপকে যেতে পারে মানুষেরই তৈরি যন্ত্র—রোবট!