আওয়ার ইসলাম: তিন দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসছেন পোপ ফ্রান্সিস। খ্রিষ্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্ম গুরু পোপ ফ্রান্সিস বিকালে মিয়ানমার থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ৩১ বছরে কোনো পোপের এটাই হবে প্রথম বাংলাদেশ সফর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশে ভ্যাটিক্যান দূতাবাস পোপের সফরের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। তাকে স্বাগত জানাতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক সাজ-সজ্জা ও প্রস্তুতি।
ঢাকায় পোপকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান, মর্যাদা ও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি ভিভিআইপি প্রটোকল ও নিরাপত্তা পাচ্ছেন। সফরসঙ্গীদের মধ্যে প্রায় ১০০ সাংবাদিক-সহ তিন শতাধিক সদস্য রয়েছে। ১৯৮৬ সালে পোপ জন পল দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
সফরে যা করবেন পোপ
পোপ ফ্রান্সিস শুক্রবার সকাল ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খ্রিস্টধর্মীয় উপাসনা ও যাজকদের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ভাষণ দেবেন। সেখানে ৮০ হাজার পুণ্যার্থী যোগ দেবেন।
বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে ঢাকায় ভ্যাটিকান দূতাবাসে যাবেন তিনি। সেখানে পোপের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাত্ করবেন।
বিকাল ৪টায় কাকরাইলে রমনা ক্যাথেড্রাল পরিদর্শন করবেন তিনি। এরপর প্রবীণ যাজক ভবনে বাংলাদেশের বিশপদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।
বিকাল ৫টায় কাকরাইলের আর্চ বিপশ হাউজের মাঠে শান্তির জন্য আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃমাণ্ডলিক সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন পোপ।
শনিবার সকাল ১০টায় তেজগাঁও মাদার তেরেজা ভবন পরিদর্শন করবেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখানে তেজগাঁও গির্জার যাজক, ব্রাদার-সিস্টার, সেমিনারিয়ান ও নবিশদের সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এরপর তেজগাঁও সমাধিস্থল ও পুরনো গির্জা পরিদর্শন করবেন। বিকাল তিনটায় রাজধানীর নটর ডেম কলেজে যুব সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
এদিনই বিকাল ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন পোপ ফ্রান্সিস।
একবারের জন্যও রোহিঙ্গা শব্দ উচ্চারণ করলেন না পোপ