আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তানের প্রাক্তন সামরিক শাসক পারভেদ মুশারফ জানিয়েছেন, জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদের বড় সমর্থক। একইসঙ্গে লস্কর-ই-তৈবারও বড় সমর্থক তিনি।
এই মুহূর্তে দুবাইয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন মুশারফ। দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতায় অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে দুবাই-এ স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সামরিক শাসক।
মঙ্গলবার টিভির একটি টক-শোতে পাকিস্তানের কট্টরপন্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মুশারফ বলেন, তিনি লস্কর-ই-তৈবার সবথেকে বড় সমর্থক।
তিনি এটাও জানেন, লস্কর-ই-তৈবা এবং জামাত-উদ-দাওয়াও মুশারফকেই পছন্দ করেন।
তিনি কি লস্কর প্রতিষ্ঠাতা সইদকে পছন্দ করেন, এই প্রশ্নের উত্তরে মুশারফের উত্তর, আগে তার সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছে। এমন কী সম্প্রতিও সইদের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছে মুশারফের। কাশ্মীরে লস্করের কার্যকলাপকে তিনি সবসময়ই সমর্থন করেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সামরিক শাসক।
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাকে সব থেকে বেশি চাপে রেখেছে লস্করই, এমনটাও জানিয়েছেন মুশারফ। তবে মুশারফের দাবি, ২০০৮-এ মুম্বই হামলার পিছনে লস্কর কোনওভাবেই জড়িত নয়।
ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বই হামলায় দশ সদস্যের লস্কর জঙ্গিদলের একজনকেই জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়েছিল। সে হল আজমল কাসভ। সেদেশের মাটি থেকেই হামলার পরিকল্পনার কথা সরকারিভাবে স্বীকার করে নিয়েছিল পাকিস্তান।
মুশারফের দাবি, তিনি উদার এবং মধ্যপন্থী। কিন্তু এই শব্দগুলির অর্থ এই নয় যে, তিনি সব ধরনের ধর্মীয় মানুষের বিপক্ষে। ২০০২ সালে ভারতের সংসদে হামলার ঘটনার সপ্তাহখানেক পরেই লস্কর ও জৈশকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন মুশারফ প্রশাসন।
২০০৮ সালে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হন মুশারফ। তিনি দাবি করেছেন, লস্করকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণার পিছনে রয়েছে ভারত এবং আমেরিকা। কিন্তু লস্কর শুধুমাত্র কাশ্মীরে হামলায় যুক্ত। যে সমস্যা শুধু মাত্র ভারত ও পাকিস্তানের বলেও দাবি করেছেন মুশারফ।
২০০২ সালে লস্করকে কেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরে মুশারফ বলেন, সেই সময় পরিস্থিতি অন্যরকমের ছিল।
সূত্র: ওয়ানইন্ডিয়া