শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করা মাদরাসা শিক্ষক কারাগারে হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি

মানবসেবায় অতুলনীয় আলেম সমাজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতিক ফারুক
তরুণ লেখক

মানুষ মানুষের জন্য। প্রত্যেক মানুষের উচিৎ পরস্পরের সুখ দুঃখে পাশে থাকা। কোন মুসলমান ভাইয়ের বিপদে যথাযথ সাহায্য প্রদান করা। মানুষ্যত্ববোধ বা মানবতাবোধ থেকেই একে অপরের সুখ দুঃখে এগিয়ে আসে।

আবার কেউ কেউ তো বিপদগ্রস্ত কোন ভাইকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারলেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে। মনের গহীনে পরম সুখশান্তি অনুভব করে। এমন উদার মনের মানুষ পৃথিবীতে অগণিত আছে।

তবে, মানবসেবায় নিয়োজিত কোন সংগঠন বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক যদি আমরা সঠিক পরিসংখ্যান অনুসন্ধান করতে যাই। তাহলে এদের মধ্যে অধিকাংশই দেখতে পাবো আলেম-উলামাদের বা কওমি শিক্ষার্থীদের। এটি আমাদের কাছে আরো সুস্পষ্ট হবে যখন আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

সম্প্রতি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি আলেমদের মহানুভবতা এবং দিনরাত সেখানে থেকে অসহায়দের পাশে থেকে সহায়তা করা সত্যিই অতুলনীয় বিষয়। মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরও বিপুল অংশগ্রহণ। মানবসেবায় আলেমসমাজ অতিতেও ছিল আছে এবং থাকবে।

দেশে যখন কোন মানুষ কঠিন রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে মুমূর্ষু অবস্থায় বিছানায় শুয়ে থাকে। এই সংবাদ কোন আলেমের কানে আসার সাথেই সাথেই তিনি তৎপর হয়ে যান। সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেন। নিজের সর্বস্ব চেষ্টা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে সামর্থ্যানুযায়ী সাহায্য করার চেষ্টা করেন। রাস্তার ভিক্ষুককে পর্যন্ত ফিরিয়ে দিতে ইতস্তত বোধ করেন আলেমসমাজের লোকেরা।

মানবসেবায় আলেমসমাজের যে অতুলনীয় ভূমিকা সেটি একটি ঘটনার মাধ্যে স্ফুটিত হয়ে যাবে।

কয়েকবছর আগে কোন এক ঘূর্ণিঝড়ে অনেক মানুষ মৃত্যু বরণ করেন। পরবর্তীতে মৃত মানুষের লাশগুলো পানিতে ভেসে ওঠে। এমন কেউ ছিল না যারা মৃত মানুষের এই লাশগুলোকে গোসল করিয়ে, জানাজা পড়িয়ে কবর দিবেন। কিন্তু, পাশের গ্রামের এক হাফেজ, আলেম সাহেব কোমরে গামছা বেঁধে নেমে পরলেন অভিযানে। একে একে সকলকে গোসল করিয়ে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত করে কবর দিয়েছেন। সে সময় এই সংবাদ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল।

যাইহোক, আমার এগুলো বলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আলেমদের উদারতার পরিচয়গুলো মানুষের মাঝে উপস্থাপন করা। রোহিঙ্গা সঙ্কটে আলেমদের অবদান সবচেয়ে বেশী! কিন্তু, মিডিয়া যেন এই ব্যাপারে হাত পা গুটিয়ে নীরব দর্শক সেজে বসে আছে।

আলেমরা কখনো লোকদেখানো কাজ করেন না। তারা সর্বদা আল্লাহ তা'য়ালার বিধি-বিধান এবং তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ অনুকরণেই জীবন পরিচালনা করে থাকেন।

মানবসেবায় আলেমসমাজ এর নেপথ্যবিধান রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শনুসরণ।

তাই, আসুন! আমরা সকলে রাসুলের আদর্শে আদর্শিত হই। মানবসেবায় পরস্পরে এগিয়ে আসি। এই আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করি।

বাস ও পার্কে কালেকশন, এ কেমন লজ্জা?


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ