শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চরমোনাই মাহফিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শেখ নাসির উদ্দিন
চরমোনাই থেকে

আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দেশের অন্যতম বৃহৎ ইসলামি সম্মেলন চরমোনাইয়ের বাৎসরিক মাহফিল।

আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি মোনাজাতে বিশ্ব মানবতার মুক্তি, দেশ-জাতির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করেন।

এর আগে বাদ ফজর বয়ানে তিনি বলেন,হজরত উমর রা. ক্ষুধার্ত প্রজার ক্ষুধা নিবারণের জন্য নিজ কাঁধে আটার বস্তা বয়ে নিয়েছিলেন। আজকাল আমরা ইলম-কালাম শিখলেই সম্মানের প্রত্যাশা করি। আমাদের নামে নাড়া (শ্লোগান) না লাগলে মনে কষ্ট লাগে। বাবারে, এমন ইলম কিন্তু তোমাকে ধ্বংসের হাত থেকে নাজাত দেবে না।

আজকাল অনেক আলেম পেছনে পেছনে চরমোনাইর সমালোচনা করেন। কিন্তু কেন? আমরা তো সবসময় বলি,আমাদের ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন। তা না করে সমালোচনা করলে কিন্তু কোন ফল হবে না।

মুফতি রেজাউল করীম আরও বলেন আমি যখন চরমোনাই ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম. তখন বিপক্ষ দলের এক নেতা বলেছিলেন ‘রেজাউল করীম চেয়ারম্যান হলে উন্নয়ন হোক আর নাই হোক, নামাজির সংখ্যা বাড়বে’।

চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমি কোন এক সালিসে বসলাম। আজান হলে আমি মসজিদের দিকে চললাম। উপস্থিত লোকজনও লজ্জায় মসজিদে নামাজ পড়তে রওয়ানা দিল। চেয়ারম্যান নামাজ পড়তে যাচ্ছেন আর তারা বসে থাকবে,এমনটা কেউ মানতে পারল না। এজন্য বলি, আপনি নামাজ পড়েন আর আপনার সমর্থন/ভোট নামাজ কায়েমকারী পায় না। বুঝতে হবে,আপনার নামাজে গলদ আছে। আল্লাহ বলেছেন, সৎ কাজে তোমরা সহযোগিতা কর।

গত ২৬ নভেম্বর মাহফিল শুরু হয়ে লাখো লোকের মিলন মেলা আজ শেষ হলো। এই তিনদিন শরিয়াত, মারেফাত এবং মাদসার সম্পর্কে বয়ান করেন চরমোনাই পীর, দরবারের খলিফাগণ ও দেশবরেণ্য আলেমগণ।

মাহফিলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ ডাক্তার মোখতার হোসাইন । সুষ্ঠুভাবে মাহফিল সম্পন্ন হওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন, মিডিয়া কর্মী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সেচ্ছাসেবক বাহিনী ও সকল মুজাহিদকে ধন্যবাদ জানান।

আগামী ২৪, ২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি'১৮ এর মাহফিলে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ