শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

যেভাবে প্রযুক্তি শিশুর জীবন বিপন্ন করছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  মোবাইল ফোনসহ আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি শিশুদের আসক্তি দিনদিন বাড়ছে। অনেক অভিভাবক এ আধুনিকায়নের অংশ হিসেবেই সন্তানের হাতে এসব প্রযুক্তি তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু এসব প্রযুক্তি যে সন্তানের জন্য আত্মঘাতী হচ্ছে তা অনেকেই ভেবে দেখেন না।

বিজ্ঞানীরা চলছে শৈশবে প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন,

যত কম বয়সে প্রযুক্তি, ক্ষতি তত বেশি
দ্য অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স ও ক্যানাডিয়ান সোসাইটি অফ পেডিয়াট্রিক্সের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কোন বয়সে শিশুকে কতটুকু প্রযুক্তির সংস্পর্শে নেয়া উচিৎ, সে সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা দিয়েছেন৷

তাঁরা বলেছেন, দু বছরের আগে শিশুদের সব গ্যাজেট থেকে দূরে রাখাই উচিত৷ ওই বয়সে ইন্টারনেট, আইপ্যাড বা টেলিভিশনে অভ্যস্ত হলে শিশু স্বভাবে অস্থির হয়, অনেক ক্ষেত্রে কানে কম শোনে৷

বিজ্ঞানীদের মতে, দু বছরের পর অল্প অল্প করে শুরু করলেও ৩ থেকে ৫ বছর বয়সীদের কখনো দিনে ১ ঘণ্টার বেশি মোবাইল, টেলিভিশন, আইপ্যাড, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ইত্যাদির সংস্পর্শে থাকা ঠিক নয়৷

৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা দিনে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা সেই জিনিসগুলোর কাছাকাছি গেলে ক্ষতি এড়াতে পারবে৷

এসবে অভ্যস্ত হলে অনেক শিশু অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়৷ এর নানা রকমের ক্ষতিকর প্রভাব জীবনের ওপরও পড়ে৷ ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের ও বেড়ে যায় তাদের৷

গ্যাজেট ব্যবহার করার কারণে শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি যৌনতা, সন্ত্রাস ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পায়৷ ফলে অনেক শিশু খুব আগ্রাসী স্বভাবের হয়৷ কিছু শিশু বড় হয়ে নানা কিছুতে জড়িয়েও যায় ভালো-মন্দ না বুঝে৷

গ্যাজেট বেশি ব্যবহার করার ফলে খুব কম বয়সেই অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে৷ তাতে এক সময় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে৷

ক্যানাডায় এ সমস্যা বেশ প্রকট হতে শুরু করেছে৷ সেখানে ছয় জন শিশুর মধ্যে অন্তত একজনকে বেশি গেজেট ব্যবহার করার ফলে মানসিক স্বাভাবিকতা ফিরে পেতে নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছে৷

ব্যতিক্রম সব কিছুতেই হয়৷ তাই খুঁজলে এমন কিছু শিশু নিশ্চয়ই পাবেন যারা কম বয়সেই মোবাইল নিয়ে খেলেছে, তা দেখে বাবা তাকে নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই শিশু সুস্থ, মেধাবী হিসেবেই বড় হয়েছে৷ তবে উল্টো দৃষ্টান্তও অনেক৷

১২ বছরের আগে মোবাইল জাতীয় উপকরণে অভ্যস্ত হওয়া শিশুর লেখাপড়ায় উন্নতি খুব ধীর গতিতে হয়৷ দেখা গেছে, সেরকম শিশুদের এক তৃতীয়াংশই শিক্ষাজীবনে খুব সমস্যায় পড়ে৷

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শতকরা ৬০ ভাগ শিশুর বাবা মা-ই আজকাল কম বয়সি সন্তানের হাতে মোবাইল বা অন্য গ্যাজেট তুলে দেন৷ শতকরা ৭৫ ভাগ শিশুর বাবা-মা তারপর আর খবরই নেন না তাঁদের সন্তান রাতে কখন ঘুমায়৷ বাবা-মায়ের অজান্তেই অনিদ্রাজনিত অসুখ ডেকে আনে সন্তান৷

সূত্র : ডয়েচে ভেলে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ