হামিম আরিফ: আগামী কাল (২৬নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম ধর্মীয় জমায়েত বরিশালের কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন জামিয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ চরমোনাইয়ের অগ্রহায়ণের মাহফিল৷ মাহফিল চলবে টানা তিন দিন৷
ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামাতবদ্ধ/একাকীভাবে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী চরমোনাই ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন৷ উত্তরবঙ্গ ও ঢাকার অধিকাংশ মুসল্লী আজ রাতে লঞ্চযোগে মাহফিলের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন৷
ময়াদনে অবস্থান করছেন এমন কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার অগ্রহায়ণের মাহফিল উপলক্ষ্যে দুইটি বিশাল মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে৷ প্রথম মাঠ ইতোমধ্যেই পূর্ণ হয়ে গেছে৷ আজ রাতের মধ্যে দ্বিতীয় মাঠও পূর্ণ হয়ে যাবে৷
গত বছরের তুলনায় এবারে প্রচুর মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও তারা জানান।
ইশা ছাত্র আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই মাহফিলের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে৷ মুসল্লীদের সব ধরনের সেবা যাতে নিশ্চিত হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছে৷ মাহফিল প্যান্ডেল সংলগ্ন অস্থায়ী হাসপাতাল আগের তুলনায় আরো উন্নত করা হয়েছে৷ প্রস্তুতি কাজ তদারকি করেছেন স্বয়ং আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, পীর সাহেব চরমোনাই৷
আগামী কাল বাদ জোহর হজরত পীর সাহেবের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের মূল কার্যক্রম শুরু হবে৷ তিন দিনব্যাপী এই মাহফিলে মোট সাতটি মৌলিক বয়ান হবে৷ পীর সাহেব, মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম ও প্রিন্সিপাল মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি বয়ান রাখবেন৷ শেষ দিন আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম৷
মাহফিল উপলক্ষ্যে দেশের বাইরের কোনো আলেম আসছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওই দায়িত্বশীল বলেন, অগ্রহায়ণের এবারের মাহফিলে কোনো বিদেশি মেহমান আসছেন না৷ তবে পীর সাহেবের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ আলেমদের মাহফিলে বিশেষভাবে দাওয়াত প্রদান করা হয়েছে৷ তারা সকলেই আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷
বয়ান, জিকির, কুরআন, নামাজ ও সুন্নতি আমলের মশক, তা’লিম, তারবিয়ত, বাইয়াত গ্রহণ, উলামা সম্মেলন, ছাত্র গণ জমায়েত ইত্যাদি নানাবিধ আত্ম-উন্নয়নমূলক কাজের মধ্য দিয়ে আগত মুসল্লীগণ সময় অতিবাহিত করবেন৷
ব্যক্তিগত প্রোগ্রাম না থাকলে চরমোনাই মাহফিলে যেতাম: আল্লামা বাবুনগরী