আওয়ার ইসলাম: গতকাল শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে বহনকারী বিমানে ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’ মূলত গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। পূর্ব পরিকল্পনামাফিক এ ঘটনা ঘটানো হয়। ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করতে না পারলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো এবং ষড়যন্ত্রকারীরা সেটিই চেয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বোয়িং ৭৭৭-ইআর ৩০০ উড়োজাহাজ ‘রাঙ্গা প্রভাত’ ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর ৯টা ১৪ মিনিটে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
৩৬ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে ৮৫০ কিলোমিটার গতিতে উড়ন্ত অবস্থায় উড়োজাহাজের মনিটরের মাধ্যমে বাম দিকের ট্যাংকিতে ইঞ্জিন ফুয়েলের পরিমাণে গরমিল ধরা পড়ে। ইঞ্জিনের তেলের পরিমাণ হ্রাসের পাশাপাশি এয়ার প্রেসারও দ্রুত কমতে থাকে। এই অবস্থায় ক্যাপ্টেন উড়োজাহাজটি ৩৬ হাজার ফুট থেকে ৩০ হাজার ফুটে নামিয়ে আনেন।
পরে ক্যাপ্টেন গতিপথ পরিবর্তন করে নিকটবর্তী তুর্কমেনিস্তানের আশগাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করান। সেখানে কারিগরি ত্রুটি অপসারণের চার ঘণ্টা পর উড়োজাহাজটি প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বুদাপেস্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
ঘটনার পর বিমানের পরিচালক (রক্ষণাবেক্ষণ) উইং কমান্ডার (অব.) এম এম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে চিফ টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। এটি এখন বিচারাধীন।