আওয়ার ইসলাম : নদী দখল করে গড়ে তোলা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে অন্য জায়গায় সেসব প্রতিষ্ঠানকে জমি দেবে সরকার।এছাড়া দখল ঠেকাতে জরিপ চালিয়ে সারা দেশে নদীর সীমানা পিলার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে নদীর দূষণ রোধ ও নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩৬তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে নৌমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান- যেমন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির এমনকি একটি দরবার শরীফও নদীর মধ্যে জায়গা দখল করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেইসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমাম, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তারা বসেছেন, আলোচনা করেছেন।
“সকলেই একমত হয়েছেন যে স্থানান্তরের জন্য তাদের একটা জায়গা দরকার। আমরা যদি তাদের জায়গা দিতে পারি তাহলে তারা মসজিদ, মাদ্রাসা এবং মন্দির যেগুলো নদীর মধ্যে স্থাপন করেছে, সেগুলো স্থানন্তার করে নেবেন।”
জেলা পর্যায়ে নদী দখল করে স্থাপন করা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরাতে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারি বা খাস জমি বরাদ্দ দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান নৌমন্ত্রী।
ঢাকার চারপাশে চারটি নদীতে জরিপ চালিয়ে সরকার সীমানা পিলার স্থাপন করেছে। স্থাপিত পিলারের অর্ধেক নিয়ে আপত্তি ওঠায় সেগুলো আবার যাচাই করা হচ্ছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অারএম