নিহার মামদুহ
প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বন্দরে ‘লস্কর’ পদে ক্ষমতাশীলদের অনুরোধে নিয়োগ দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তবে তিনি অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গতকাল সোমবার সংসদে ‘লস্কর’ পদে লোক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তিনি এ তথ্য জানান।
৩০০ বিধিতে (স্পিকারের অনুমতি নিয়ে জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রীর বিবৃতি) সংসদে দেওয়া বক্তব্যে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিধান ও কোটা অনুসরণ করে ‘লস্কর’ পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ এনে জাসদের সাংসদ মইন উদ্দীন খান বাদল এবং জাতীয় পার্টির সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমেদের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করার অনুরোধও করেন মন্ত্রী।
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের রশি বাঁধা ও পাহারা দেওয়ায় নিয়োজিত কর্মী ‘লস্কর’ নামে পরিচিত। সরকারি বেতন স্কেলে তাঁরা সর্বনিম্ন ধাপের (২০তম গ্রেড) কর্মী।
মইন উদ্দীন খান সংসদে অভিযোগ করেছিলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে লস্করের পদে ৯২ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ২ জন চট্টগ্রামের, আর ৯০ জন অন্য একটি জেলার। একই অভিযোগ করেন সাংসদ জিয়াউদ্দিনও।
গতকাল এ বিষয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, ৯২ জন নয়, লস্করের চাকরি দেওয়া হয়েছে ৮৫ জনকে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৯ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ২৩ জন, কক্সবাজারের ৪ জন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ২ জন।
এ ছাড়া নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ চাকরি পেয়েছেন। তবে মন্ত্রী তাঁর নিজ জেলা মাদারীপুর থেকে কতজন নিয়োগ পেয়েছেন, সে তথ্য উল্লেখ করেননি।
শাজাহান খান বলেন, ‘এখানে যেহেতু শুধু মৌখিক পরীক্ষা হয়, সেহেতু অনেক সাংসদ, মন্ত্রী যাঁরা আমাদের অনুরোধ করেন, আমরা সেভাবে দিয়ে থাকি।’
তিনি জাসদের যে সাংসদ অভিযোগটি করেছেন, তাঁর অনুরোধেও একজনকে নেওয়া হয়েছে বলে জানান। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদেরও একটা অনুরোধ রাখা হয়েছে।