শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র

ফেসবুক, সমস্যা যখন উন্মুক্ত সমালোচনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফারজানা জামান: ‘লোকের কথায় কান দিলে চলবে না’—এ কথাটি প্রায়ই শোনা যায়। অর্থাৎ লোকে যাই বলুক নিজের জীবন নিজের মতো করে চালিয়ে নিতে হবে। এই কথাটা কতজন মনে রাখতে পারেন? কারও সঙ্গে যখন কথার, কাজের অথবা কোনো মতের পার্থক্য হয় তখনই আমরা সমালোচনা করি।

সমালোচনার ভালো-মন্দ দুটো দিকই আছে। সমালোচনা যেমন মানুষের ভুল শুধরে দেয় আবার অনেক সময় তা এমন পর্যায়ে চলে যায়, যা মানুষের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেয়।

সমাজে চলতে-ফিরতে নানা রকম সমালোচনা শুনতে বা করতে হয়। এ তো গেল বাস্তব জীবনের কথা। বাস্তব জীবন ছাড়াও আমাদের আরেকটি জীবন আছে অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাস্তব জীবনের সঙ্গে কিন্তু এই জীবনের হুবহু মিল নেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আমাদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়, আর মাঝেমধ্যে সেটা বেশ সমস্যাই তৈরি করে। যেমন কেউ হয়তো একটা কিছু লিখল, সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দুই-ই হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, সমালোচনা ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে চলে যায়।

সমালোচনার ভাষা এমন থাকে— যা মোটেও যৌক্তিক না। আবার অনেক সময় কেউ কেউ শুধু কাউকে অপছন্দ করে বলে সে যা-ই করুক যা-ই লিখুক, সেটা নিয়ে সমালোচনা করেই থাকে। ভালো-মন্দ কোনো কিছুই বিবেচনা করে না। আসলে এমন সমালোচনা করা কতটা উচিত?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বাস্তব জীবন আলাদা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের হাজার হাজার মানুষ দেখতে পায়, হয়তো মনে হতে পারে একটা ছোট জায়গায় এই মাধ্যম সীমাবদ্ধ। কিন্তু সেটা আসলে ভুল, কারণ আমরা যাই করি, যাই বলি, যাই লিখি—সেটা সবাই দেখছে।

সমালোচনার নামে যাকে হেয় করা হচ্ছে তার কেমন লাগতে পারে সেটা অনেকসময় বিবেচনা করা হয় না।

তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফারহানা এ রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন কথা বলে থাকি যা হয়তো আক্রমণাত্মক। অকারণে ও অনেক সময় ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও কথা বলি। বাস্তব জীবনেও না বুঝে অনেক কথা বলি অন্যকে হেয় করে।

এগুলো ঠিক নয়। যা অন্যের সম্মান নষ্ট করে, তা কোনো মাধ্যমেই বলা উচিত নয়। সমালোচনাকে আলোচনার পর্যায়ে এনে ইতিবাচকভাবেও সেটা বুঝিয়ে বলা যেতে পারে আলাদাভাবে।

জীবনে চলতে-ফিরতে অনেক কিছুই শুনতে হয়। খারাপ কথা এড়িয়ে ভালো কথা গ্রহণ করতে জানতে হবে। তা বাস্তব সমাজে হোক কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই হোক।

সূত্র: অধুনা


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ