আওয়ার ইসলাম: দেশের প্রাচীনতম ইসলামী রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ (১৮ নভেম্বর) শনিবার রাজধানী ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দলের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা তফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী’র সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়। এতে দলের দেশব্যাপী জেলা পর্যায়ের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদকগণ শরীক ছিলেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী আনোয়ার মাহমুদ এর পরিচালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন দলের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহসভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভূঁইয়া, যুগ্মমহাসচিব সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ জামি, দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জায়নুল আবেদীন, যুববিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শরফ উদ্দীন ইয়াহইয়া কাসেমী ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মুফতী নাসির উদ্দীন খান প্রমুখ।
দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি, সাংগঠনিক শৃৃঙ্খলা রক্ষা, সদস্য বৃদ্ধি, জনসম্পৃক্ততা, দাওয়াতী কার্যক্রম এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নের রূপরেখা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জমিয়তের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা তফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সুশাসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে আলেম সমাজকে রাজনৈতিক ময়দানে ভূমিকা রাখতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষ সুশাসন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একতাবদ্ধ। একমাত্র অদক্ষ ও অসৎ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আলেম সমাজকে দক্ষ ও সৎ রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই ঘাটতি পূরণ করতে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে বাংলাদেশে সুশাসন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
হিদায়াতী বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তোলার বিকল্প নেই। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে সুশাসন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে অবশ্যই দলের মধ্যে দক্ষ ও সৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।
সুতরাং আপনারা নিজেরা কঠোরভাবে দ্বীন মেনে চলার পাশাপাশি আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংশোধনে সচেষ্ট থাকবেন। পাশাপাশি দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও নিয়ম মেনে এই অনুশীলন চালু করবেন।
তিনি বলেন, দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত যদি সকলের মধ্যে পরিপূর্ণ দ্বীন মেনে চলার চর্চার পাশাপাশি শৃঙ্খলা জারি করা যায়, সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে এর বড় রকমের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আর বেশী দিন বাকী নেই। এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে। সরকার গঠনে জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে হলে অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী হিদায়াতী বক্তব্যের পর উপস্থিত দলীয় নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।