শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র

একজন নেহাল ও আমার ওপেনিয়ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি আরিফ মাহমুদ হাবীবি
লেখক, শিক্ষক

ডাক নাম নেহাল। সে কওমি মাদরাসায় পড়াশুনা করেছে এককালে। ছেলেটা বিশ্বায়নের যুগে বহু চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে নিজেকে দাঁড় করিয়েছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের গর্বিত ছাত্র হিসেবে। এটা ওর প্রাপ্তির পাশাপাশি আমাদেরও প্রাপ্তি।

ছেলেটা নিঃসন্দেহে জিনিয়াস। সে সাংবাদিকতায় পড়ে সুবাধে কাজ করতে গিয়ে মিশতে হয় সবার সাথে। মনে রাখতে হবে সে আমাদেরই ছেলে। আমাদের হয়ে একদিন কাজ করবে এটাই চাওয়া।

শুনেছি সে কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন দৈনিকে ফিচার লিখে। ইউনিভার্সিটিতে পড়লে কিছু কালাম থাকতেই পারে, তারই সূত্র ধরে ওর কিছু ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। যা লজ্জাজনক নিঃসন্দেহে। কতটা হিনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছি আমরা এই ছবিগুলো প্রকাশ করে!

কেউ কেউ তো ওকে পেলে অনেক কিছু করে ফেলবেন মর্মে ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন। বারে! একবার ভেবেছেন এতকিছু করার অধিকার আপনাকে কে দিল? দাড়ি টুপি নিয়ে তাকে যাতা বলছেন। তবে কি দাড়ি কাটার আর ইসলামি লেবাস পরিত্যাগের পরামর্শ দিচ্ছেন আপনারা?

অথচ আমরা নিজেদের মিডিয়া চাই, যোগ্য সাংবাদিক চাই!! আমাদের ঘরাণার লোকদের যদি আমরা নিজেদের কাছে টানতে না পারি তবে এটা হবে আমাদের জন্য ভয়ানক বিপদজনক!

ক্ষণে ক্ষণে আমরা সংবাদ মাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি। আমাদের ছেলেদের মিডিয়ায় আসা কতটা জরুরি হারে হারে আমরা টের পাচ্ছি। এ দুর্যোগপূর্ণ সময়ে দূরে ঠেলে নয় চাই ভালোবাসা। সবাই তো বিরুদ্ধেই লিখে, অন্তত আমাদের কর্মের কারণে যেন আমাদের লোক প্রতিপক্ষ না হয় এটা হবে দুরদর্শি চিন্তা।

ছেলেটা ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতায় পড়েও নিজের স্বকীয়তা ধরে রাখতে পেরেছে এটা কেও দেখছে না বরং তার চৌদ্ধগোষ্ঠি উদ্ধারের চিন্তা! ওর জন্য দোয়া করুন সে যেন আমাদের হয়ে লিখতে পারে। আর সত্যিকারার্থে ওর ভালো চাইলে তাকে গোপনে পরামর্শ দিন- যেন দাড়ি টুপির ইজ্জত রাখে। এটা হবে দাঈর কাজ।

যেভাবে আমরা সমালোচনা করছি একবার চিন্তা করে দেখুন ও যদি সত্যিই আপনার উস্কানিতে বিগ্রে যায় তাহলে আপনার অবস্থা কোথায় যাবে? একজন আলেম হয়ে, একজন সমঝদার হয়ে অন্যকে ভুল পথে তুলে দিচ্ছেন। যেখানে আপনার উচিত ভুল মানুষকে মমতা দিয়ে টেনে আনা।

একই সঙ্গে আমি নেহালকেও বলবো, ব্যক্তিগত জীবনে নিজেকে আরও স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করতে হবে। সমালোচনার সুযোগ তৈরি করে দেয়া কিংবা স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানো আগামী দিনে পথচলার ক্ষেত্রে তোমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যৌক্তিক সমালোচনাগুলো আশা করি শুধরে নাও। বাকিগুলো রেখে দাও কোনো কালে স্মৃতি হয়ে সুখ দেবে।

‘হুজুর, আবার কীয়ের ইশটুডেন্ট’


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ