আওয়ার ইসলাম: আগামী বছর (২০১৮ সালে) বেসরকারি কোটায় হজে যাওয়ার প্রাক-নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ৮০ হাজার ২৭১ জন। যা ২০১৮ সালের জন্য বেসরকারিভাবে নির্ধারিত কোটার চেয়ে ৬৩ হাজার ১১৩ জন বেশি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত বেসরকারি কোটা পুর্ণ হয়ে আরো অতিরিক্ত নিবন্ধন হবার কারনে আগামী বছর এই অতিরিক্ত হজ গমনেচ্ছুকরা বাদ পরে যাবেন। তবে তারা বেসরকারি হজযাত্রী হতে চাইলে ২০১৯ সালে ক্রমানুসারে সুযোগ পাবেন। তাদের প্রাক-নিবন্ধন করা হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ধারনা করা হচ্ছে ২০১৯ সালের বেসরকারি কোটা এই বছরই পূরন হয়ে যাবে।
এবছর বেসরকারি কোটায় অতিরিক্ত নিবন্ধন হলেও সরকারি কোটায় এখনও পাঁচ হাজার ৯৫৪ জনের কোটা খালি রয়েছে। ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি কোটায় যেতে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন চার হাজার ৪৬ জন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ২০১৮ সালেই হজে যেতে চাইলে সরকারি কোটায় প্রাক-নিবন্ধন করে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
গত বছর সরকারি কোটায় হজে যান চার হাজার ২০০ জন। তবে এবারও সরকারি কোটা পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে সৌদি আরবের নির্ধারিত কোটায় বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৫৮ জন। এরমধ্যে বেসরকারি কোটায় যেতে পারবেন এক লাখ ১৭ হাজার ১৫৮ জন। বাকি ১০ হাজার সরকারি কোটায় যেতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হজ) মো. হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘কেউ যদি ২০১৮ সালেই হজে যেতে চান, তাহলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করা প্রাক-নিবন্ধন বাতিল করে সরকারি কোটায় আবার প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। সেটা করলেও দ্রুত করতে হবে। কারণ এবার সরকারি কোটা খালি থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।’ ৩১ ডিসেম্বর সময়ের আগেই প্রাক-নিবন্ধন শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে হজ নীতিমালা হালনাগাদ ও আগামী ১৪ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি সই করবে বাংলাদেশের।