আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী বলেন, সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ সা. কে নিয়ে ফেসবুকে কুটক্তি ও অবমাননাকর পোস্ট প্রদানকে কেন্দ্র করে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য প্রশাসনকে খেসারত দিতে হবে।
কেননা এ ব্যাপারে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা প্রশাসনের নিকট মামলা দায়ের করার পরও প্রশাসন এটাকে আমলে নেয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরও সময়োচিত পদক্ষেপ না নিয়ে অভিযুক্ত দোষীকে গ্রেফতার না করায় মুসল্লীদের ক্ষোভ বৃদ্ধি করেছে।
এতে করে ২জন সাধারণ মুসল্লীর মৃত্যু, হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে আগুন, হামলা, মামলা এবং বহু হতাহতের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
প্রশাসন মহানবী সা. কে নিয়ে কুটক্তিকারী একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করলে এত হতাতের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সুযোগ থাকতো না। অতিসত্ত্বর অপরাধীকে গ্রেফতার এবং সাধারণ মুসল্লীদের হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
অন্যথায় এদেশের তাওহীদী জনতার আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না এবং এটাকে কেন্দ্র করে এরচেয়ে আরও বড় কোন ঘটনা ঘটলে সরকারকে এর জন্য চরম খেসারত দিতে হবে।
তিনি দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংগঠনের মাসিক নির্বাহী বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এবং আগামী ২৫ নভেম্বর, শনিবার, রাজধানীর কাজী বশির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনকে বাস্তবায়ন করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের দায়িত্বশীল ও কর্মীভাইদের প্রতি আহ্বান জানান।
মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কুরবান আলী, মাওলানা আব্দুল আজীজ, ডক্টর মাওলানা জি এম মেহেরুল্লাহ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হক
বায়তুলমাল ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক নূর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, নির্বাহী সদস্য মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মুফতী হাবীবুর রহমান কাসেমী, মুহাম্মদ আব্দুর রহীম, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক মূসা প্রমুখ।