আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
সৌদি আরবে দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে ১১ শাহজাদা , ৪ মন্ত্রী ও সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয় নি। তবে তাদের মধ্যে ওয়ালিদ বিন তালাল ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ইবরাহিম আসফও রয়েছেন।
শাহজাদা ওয়ালিদ বিন তালালসহ অন্যদের ঠিক কি কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের অধীনে সৌদি আরবের নতুন নেতৃত্ব সংহত করতে এ গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়েছে।
ধারণা করা হয়, সৌদি যুবরাজদের মধ্যে অত্যন্ত ওয়ালিদ বিন তালাল প্রভাবশালী ও ধনী। এক সঙ্গে এতোজন শাহজাদা গ্রেফতার হওয়ায় সৌদি আরবে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত শাহজাদা ওয়ালিদ বিন তালালের গ্রেফতারে সারা পৃথিবীর ব্যবসায়ীদের কপালে ভাঁজ পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শাহজাদা ওয়ালিদ বিন তালাল সৌদির আরবের শীর্ষ কোম্পানি ‘কিংডম হোল্ডিং’ এর সত্ত্বাধিকারী। সিটি গ্রুগ ও টুইটার সামিটের অংশিদার। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক টিভি নেটওয়ার্কের মালিক।
ওয়ালিদ বিন তালাল কিছু দিন পূর্বে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন প্লাজা হোটেল কিনে নেন।
২০১৫ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে টুইট করে তাদের আমেরিকার লজ্জা অভিহিত করেন।
ওয়ালিদ বিন তালাল সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ-এর ছোট ভাই তালাল বিন আলে সৌদের ছেলে। ফোর্ব ম্যাগাজিনের তালিকায় ১০ প্রভাবশালী ব্যক্তির অন্যতম হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওয়ালিদ বিন তালাল পৃথিবীর ৭তম সেরা দাতা।
ওয়ালিদ বিন তালালকে গ্রেফতারের অন্যতম লক্ষ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তার প্রভাব খর্ব করা। তবে তার গ্রেফতারে আন্তর্জাতিক বাজারে ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স ও ডেইলি পাকিস্তান