আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
পবিত্র কাবার ইমাম শায়খ সালেহ আবদুল্লাহ বিন হামিদ বলেছেন, ইসলামে ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক জিহাদের কোনো অবকাশ নেই। কেননা জিহাদ ইসলামি রাষ্ট্রের বিষয়। যতো অপারগই হোক রাষ্ট্রকেই এ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক জিহাদের কারণে শত্রু রাষ্ট্র ইসলামি রাষ্ট্রে হস্তক্ষেপ ও অনুপ্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে। বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী সংগঠন তা দেশি বা আন্তর্জাতিক হোক ইসলামের শত্রু। সাধারণ মুসলমানের দায়িত্ব তাদের পরিহার করা।
পাকিস্তানের নাজি টিভির এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে আসেন।
তিনি বলেন, মুসলিম জাতির নিরাপত্তার ব্যাপারে উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। তাই বলে মুসলিম রাষ্ট্রে বিশৃংখলা সৃষ্টি করা যাবে না।
শায়খ সালেহ বলেন, মুসলিম বিশ্বের সব সমস্যার মূলে রয়েছে অনৈক্য। আমরা বিচ্ছিন্ন এবং পরস্পর থেকে বহু দূরে অবস্থান করছি। এ থেকে বাঁচার উপায় হলো, উম্মাহর স্বার্থকে বড় করে দেখা এবং পরস্পর মতবিরোধ দূর করা।
তিনি বলেন, মতবিরোধ শুধু মুসলিমদের মাঝে বিরাজমান তা নয়। পৃথিবীর সব জাতির মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে আমাদের উচিৎ গোড়ামি ও প্রবৃত্তি পূজা ত্যাগ করা। নিঃস্বার্থভাবে মুসলিম উম্মাহর জন্য কাজ করা।
জিহাদ কেবল জাতীয় নেতৃত্বের ইচ্ছাধীন। ‘জিহাদ ও অন্যায়ের প্রতিবাদ’ উভয়ের মাঝে পার্থক্য আছে। কুরআন ও হাদিসের ভাষ্যে পার্থক্য স্পষ্ট। জিহাদ আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব। কেয়ামত পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ‘কিতাল’ তা কেবল আস্থাশীল শাসকের অধীনেই করতে হয়।
পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে কেবল জাগতিক ও স্বার্থনির্ভর সম্পর্ক রাখতে হবে। তাদের সঙ্গে আত্মিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক রাখার অনুমতি ইসলামে নেই। জাগতিক কল্যাণ ও স্বার্থের ভিত্তি শক্তি। যে রাষ্ট্র যতো বেশি শক্তিশালী তাদের স্বার্থ ও কল্যাণ ততো বেশি সুরক্ষা পাবে।
শায়খ সালেহ বলেন, কোনো মুসলিমকে মুরতাদ বা কাফের বলার অধিকার কেবল শাসক বা (ইসলামি) আদালতেরই রয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা দলের অন্য কোনো মুসলিমকে কাফের বা মুরতাদ বলার অধিকার নেই।
মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের ব্যাপারে সবার আন্তরিক হওয়া উচিৎ এবং মুসলিম বিশ্বের যে কোনো ঐক্যকে স্বাগত জানানো প্রয়োজন। এভাবে হয়তো একদিন বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
সূত্র : ডেইলি পাকিস্তান