আওয়ার ইসলাম : গর্ভপাত করাতে স্বামীর অনুমতির প্রয়োজন নেই, বলে রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি তার গর্ভস্থ ভ্রূণকে জন্ম দিতে না চান, তাহলে অন্য কারোর সে বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনও অধিকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আজ শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খালউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ এক ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে দিয়ে এই রায় দিয়েছেন।
আদালত জানিয়েছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি তাঁর গর্ভের ভ্রূণকে জন্ম দিতে না চান, তাহলে সেই সিদ্ধান্তে অন্য কারও হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই।
প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা এক নারী ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন। পরের বছর তাদের একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। এরপরই সম্পর্কে অবনতির জেরে ১৯৯৯ সাল থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন তারা। বিয়ে বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন চণ্ডীগড়ের লোক আদালত তাদের আবার কিছুদিন একসঙ্গে থেকে মিমাংসা করে নিতে বলে।
২০০২ সালের নভেম্বর থেকে একসঙ্গে থাকার সময় ওই নারী আবার গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কিন্তু সম্পর্কে কোনও উন্নতি না হওয়ায় ফের আলাদা থাকা শুরু করেন তারা। এই অবস্থায় গর্ভপাত করাতে চান তিনি। কিন্তু তাতে অসম্মতি জানান তার স্বামী। তার অনুমতি ছড়া গর্ভপাত করানোর জন্য যে মানসিক যন্ত্রণা তিনি পেয়েছেন তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ৩০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেন ওই ব্যক্তি। তার এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আজ সুপ্রিম কোর্টও একই রায় দিয়ে জানিয়েছেন, কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি তাঁর গর্ভের ভ্রূণকে জন্ম দিতে না চান, তাহলে সেই সিদ্ধান্তে অন্য কারও হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই। এমনকি মানসিক ভারসাম্যহীন কোনো নারীও চাইলে গর্ভের ভ্রূণের গর্ভপাত করাতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর একার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
আরএম