আওয়ার ইসলাম : আবারও অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস মাইক্রোসফটের বিল গেটসকে টপকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়ে যান। ওইদিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে এই পরিবর্তন হয়।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে এসময় আমাজনের শেয়ার ৭ শতাংশ বেড়ে যায়। আর বেজোস এর মোট সম্পদের সাথে যোগ ৬২৪ কোটি ডলার।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের জারিপে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৯০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা সাত লাখ সাড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে পিছনে ফেলে এ খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছেন ৫৩ বছর বয়েসী অ্যামাজনের বর্তমান এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। ২০০৩ সাল থেকে প্রায় ১৪ বছর শীর্ষ ধনীর তালিকায় থাকা বিল গেটসের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৮৬ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিটে লেনদেন শেষ হওয়ার পর হালনাগাদ করা ফোর্বস সেরা ধনীর তালিকায় দেখা যায়, এদিন অ্যামাজনের শেয়ার মূল্য ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
এতে বিল গেটসের চাইতে ৭০০ মিলিয়ন ডলার বেশি সম্পদের মালিক হয়ে শীর্ষ ধনীর খেতাবটি ছিনিয়ে নেন জেফ বেজোস । তিনি অ্যামাজানের ১৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক। এতে শুধু অ্যামাজনেই বেজোসের সম্পদ মূল্য দাঁড়ায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
গত ২৭ জুলাই একবার গেটসকে টপকে গিয়েছিলেন বেজোস। তবে তা ছিল শুধু কিছু সময়ের জন্য। বেজোস ফোর্বসের শীর্ষ ধনিদের তালিকায় প্রথম আসেন ১৯৯৮ সালে। তখন বেজোসের মোট সম্পদের মূল্য ছিল ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৩ সাল থেকে বিল গেটস শীর্ষ ধনিদের তালিকার প্রথমে অবস্থান করছিলেন।
এদিকে অ্যালফাবেট মালিকানাধীন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনেরও সম্পদ বেড়েছে। ল্যারি পেজের মোট সম্পদের সাথে যোগ হয়েছে ১২০ কোটি ডলার। আর ব্রিনের সম্পদ বেড়েছে ১১৫ কোটি ডলার।
জেফ বেজোসের শীর্ষ ধনীর এই র্যাংকিং পরিবর্তিত হলে পোস্টটি হালনাগাদ করা হবে।
দুই দশক আগেও জেফ বেজোস ছিলেন একজন সাধারণ বই বিক্রেতা। নিজের বাসার গ্যারাজে বসে তিনি শুরু করেছিলেন অনলাইনে বই বিক্রি। সেই অনলাইনের ব্যবসা বিস্তৃতি লাভ করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। ২২ বছর আগে তার প্রতিষ্ঠিত আমাজন বিশ্বের অন্যতম বড় কোম্পানিতে উন্নীত হয়েছে।
আরএম