আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা সংকট অত্যন্ত জটিল। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক তৎপরতা ফলপ্রসূ হবে বলে মন্তব্য করে বিশিষ্টজনরা জানিয়েছেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের চলমান কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে।
শনিবার বিকাল তিনটায় ভি.আিই.পি লাউঞ্জ, জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাপ্তাহিক শীর্ষ খবর আয়োজিত “রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা ও বিশ্ব শান্তি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুটনৈতিক তৎপরতা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা জানান।
রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও রাজবাড়ী কণ্ঠ এর সম্পাদক খান মোহাম্মদ জহুরুল হক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা করতে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মানবিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি মশিউর মালেক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে চিত্র তুলে ধরেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই কুটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সহজ হবে বলে আশাবাদী । এই রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও বিশ্ব শান্তির জন্য তার নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শুক্কুর মাহামুদ বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।ইতিমধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের পাশাপাশি বিশ্ব নেতৃত্বের ঐক্যমত গড়তে সমর্থ হয়েছেন। তিনি যেভাবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করে চলেছেন, সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান সম্ভব।
এর জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক চাঁন বলেন, সর্বক্ষেত্রে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, মধ্য আয়ের দেশ থেকে যখন উন্নতির পথে অনেকটা অগ্রগামী তখন একটি ষড়যন্ত্র এই উন্নতিকে বাধাগ্রস্থ করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে তারা হয়তো ভুলে গেছে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। ইতিপূর্বে যত সমস্যা হয়েছে বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা তা দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে মোকাবিলা করছেন।
রোহিঙ্গা সংকটও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থায়ীভাবে সমাধান সম্ভব। ইতিমধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে জাতিসংঘ ও বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনাই যোগ্য নেতা।
সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে। এই সহায়তার হাত অব্যাহত রাখতে পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকার গঠনে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করলেও বিদেশি কুটনৈতিকদের সাথে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে ব্যস্থ থাকায় ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী তরুণ পেশাজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ্যাড. মো: মাসুম মৃধা, লোকসংগীত শিল্পী আ:কুদ্দুস বয়াতী, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশিদা কনিকা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও আওয়ামীলীগ নেত্রী লায়ন জেবিন সুলতানা কান্তা, বিশিষ্ট কবি নাট্যকার ও চিত্র পরিচালক সাঈদ আজহার, সাপ্তাহিক শীর্ষ খবরের বিশেষ প্রতিনিধি সুদীপ দেবনাথ রিমন, সামাজিক সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী ডেভিড এ হালদার, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আব্দুল হালিম, মানবাধিকার কর্মী আবুল বাশার বাদল, চিত্রনায়ক আদনান আদি, এ্যাড. আব্দুল্লাহ , বিশিষ্ট সমাজ সেবক আনোয়ার হোসেন রুমেল, শরিফুল আলম সহ প্রমুখ।