মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মানুষের মধ্যে যারা নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে পারবে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গা জমি ও ফসলের দাবি করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে রাখাইন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী কিয়াই লউইন বলেন, ‘এটি তাদের উপর নির্ভর করছে। যাদের নাগরিকত্ব নেই তাদের কোনও ভূমির মালিকানা নেই।’
রাজ্য সরকারের নথি পর্যালোচনা করে রয়টার্স জানতে পেরেছে, রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা ফসল বিক্রি ও চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে মিয়ানমারের। রোহিঙ্গারা কয়েক হাজার একর জমিতে ফসল রেখে পালিয়ে এসেছে।
রাজ্য সরকারের তথ্য মতে, রাখাইনের প্রায় ৭১ হাজার ৫০০ একর ভূমিতে ফসল রেখে পালিয়ে এসেছেন প্রায় ছয় লাখ মানুষ। বেশিরভাগ জমিতেই ধান চাষ করা হয়েছে। ফলে এখন তা পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
জানুয়ারি মাস থেকে এসব জমিতে পুনরায় চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এই লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে শিগগিরই ধানকাটা শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার পর রাখাইনে সেনাবাহিনী সামরিক অভিযান জোরদার করে। এ অভিযানে সেনাবাহিনীর সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা।
এসব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
আরএম