আওয়ার ইসলাম: জাপান টাইমসে প্রকাশিত থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মিয়ানমারের সেনাবিহিনীর এখন প্রধান অস্ত্র যেন ধর্ষণ। এর মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কোনো নারী বা বালিকা ধর্ষণ থেকে নিরাপদ নয়। এই ভয়াবহ সংকটে আক্রান্ত রোহিঙ্গারা ও তাদের নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা এমন কথা বলেছেন।
খবরে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। জাতিসংঘের ওইসব চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন, পালিয়ে আসা নারী রোহিঙ্গাদের অনেকেই শিকার হয়েছেন ভয়াবহ যৌন হামলার।
পাশাপাশি থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে দেয়া কিছু সাক্ষাৎকারেও একই কথা জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নারীরা।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াসের যৌন হামলা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ স্কাই হুইলার বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা নিধন অভিযানে পরিষ্কারভাবে ধর্ষণকে একটি ভয়াবহ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ধর্ষণ ও অন্যান্য ধরনের যৌন হামলা ব্যাপক আকারে ও পদ্ধতিগতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি নৃশংস, লজ্জাকর ও মানসিকভাবে ক্ষতিকর।
জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুসারে, ২৫শে আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ৫ লাখ ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
রোহিঙ্গা এতিম শিশুদের জন্য ’শিশুপল্লী’ করার পরিকল্পনা