আওয়ার ইসলাম : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের কাছে নিজ দেশের অবস্থানের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
টিলারসন বলেছেন, রাখাইনে যা ঘটছে সেটির জন্য দেশটির সেনা নেতৃত্বকেই আমরা দায়ী মনে করি। এই ঘটতে থাকবে আর আমরা চুপচাপ বসে বসে দেখব সেটা কখনই হবে না।
মানবাধিকার গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমারে পদ্ধতিগত জাতিগত নিধন চলছে এমন অভিযোগ করার একদিন পর মার্কিন পররাষ্ট্র এই মন্তব্য করলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই খবরগুলো (নৃশংসতা) সত্যি হলে এর জন্য দায়ী হবে একটি পক্ষ (সেনাবাহিনী)। মিয়ানমার আগামী দিনগুলোতে নিজেদের কোন দিকে চালিত করবে, তা দেশটির সামরিক নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করছে।’
একশোর বেশি শরণার্থীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পলায়নপর রোহিঙ্গাদের গুলি করে এবং পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিছু কিছু গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী নারীদের ধর্ষণ বা শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
টিলারসন বলেন, মিয়ানমারকে গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রোহিঙ্গা সংকট সেনাদের সঙ্গে ক্ষমতা বিনিময় করা মিয়ানমার সরকারের জন্য একটি পরীক্ষা বলে মনে করছেন তিনি।