শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র

৪০ বছরে দুবার শরণার্থী হলেন ফজল আহমদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক জান্তার সহিংসতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে ১৯৭৮ সালেও পালিয়ে আসে ফজল আহমদ। সেই সময় তিনি ছিলেন শিশু। -এএফপি

রোহিঙ্গা পুনর্বাসন চুক্তির আওতায় প্রায় চার দশক আগে পরিবারসহ বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফিরে যান ফজল আহমেদ। ভাগ্যের নির্মমতায় চার দশক আগের পরিস্থিতি আবারো বরণ করতে হল তাকে। স্ত্রী সন্তানসহ বাংলাদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বর্তমানে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

গত আগস্টে প্রতিবেশি মিয়ানমারে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ শরণার্থীর একজন ফজল আহমেদ।

সহিংস অভিযানের কথা স্মরণ করে ফজল আহমেদ বলেন, আমরা এই বিষয়টি আর মেনে নিতে পারছি না। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের ওই সহিংসতায় গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয় ফজলের কৃষক পরিবার।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধদের নৃশংসতা তুলে ধরে এই শরণার্থী বলেন, ‘তারা তরুণদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। অনেককে হত্যা করে এবং অন্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে।’

সংবাদ মাধ্যম এএফপি  ফজল এর দু দুবার শরণার্থী হিসাবে বাংলাদেশে আসার দুঃসহ গল্প তুলে ধরেছেন।

৪০ বছর আগে ফজল আহমেদ যখন বাংলাদেশে আসেন তখন শরণার্থী শিবিরে পরিবারের সদস্যদেরসহ প্রায় ৮ মাস কেটে যায় তার। পরে দুই দেশের সরকারের একটি চুক্তির আওতায় মিয়ানমার দুই লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়।

উল্লেখ্য, এবছর রোহিঙ্গা সঙ্কটের জেরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, তার সরকার যাচাই-বাছাইয়ের পর শরণার্থীদের ফেরত নেবেন। সেনা অভিযানের লাগাম টানতে ব্যর্থ সু চির এই যাচাই বাছাই উতড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য দুঃসহ কঠিন।

সু চির ফিরিয়ে নেয়ার এই অঙ্গীকারে আশা দেখেন না ফজল আহমেদ। কেননা কয়েক প্রজন্ম ধরে সংখ্যালঘু এই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বসবাস করে এলেও সে দেশের নাগরিকত্ব নেই তাদের।

বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ বাঙালি অভিবাসী হিসাবে মনে করে। দেশটির সেনাপ্রধানও সরকারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গা অবৈধ বাংলাদেশি; তারা স্থানীয় অধিবাসী নয়।

কওমি স্বীকৃতির বাস্তবায়ন: বিভ্রান্তির ৫ কারণ


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ