শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘকে টিআইবির নিন্দা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের নিন্দা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রবিবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের ব্যর্থতার নিন্দা জানান।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিল জাতিসংঘ। এর পরেও সময়মতো সঠিক ভূমিকা না রাখার কারণে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ ব্যর্থতার জন্য জাতিসংঘের নিন্দা করেছে টিআইবি।

আজ প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় টিআইবি। এ বিষয়ে গার্ডিয়ানের একটি সংবাদের লিংক সংযুক্তি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

গার্ডিয়ানের সে সংবাদে বলা হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের অধীনে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল। রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার আগেই ওই বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। সেই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের নীতির সমালোচনা করা হয়। তবে জাতিসংঘ ওই প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো নিয়ে কাজ করার বদলে তা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করে।

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনটি নিয়ে সঠিক সময়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণেই সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সংকট প্রকট হয়েছে বলে দাবি করে টিআইবি।

টিআইবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘের এ নিষ্ক্রিয় থাকার ঘটনায় ব্যাখ্যা দাবি করে। বিশেষ করে জাতিসংঘ যা করার কথা বলে, সেটিই করতে না পারার ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। জাতিসংঘও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনটি অবশ্যই প্রকাশ করা উচিত এবং এই ব্যর্থতার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাদের তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরুর পর এ পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। যা এখনো অব্যাহত। নিরিত রোহিঙ্গাদের উপর তারা অমানবিক নির্যাতন ও নিপিড়ন চালিয়ে দেশ ছাড়া করেছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ