আওয়ার ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক কাজের সমালোচনা করে বলেছেন, তারা এমন একটা ভাব দেখাচ্ছিলো যেনো যুদ্ধই বেঁধে যাবে। উস্কানি দেয়া এবং এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলো, যেন বিশ্ব অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাবে। তখন আমি ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলার কথা বলি। আমার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যেন কোনোকিছুতে না জড়াই, সে কথাও বলি।’
আজ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেয়া গণসংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে ছোট বোন শেখ রেহানা আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘রেহানা বলেছিল, ‘১৬ কোটি লোককে ভাত খাওয়াচ্ছো, আর সাত-আট লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারবা না!’ এই কথাটা আমাকে আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অসহায় এই মানুষগুলোর জন্য তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম―যদি প্রয়োজন হয়, একবেলা খাবো এবং আরেক বেলার খাবার তাদেরকে ভাগ করে দেবো। বাংলাদেশ যদি এই উদ্যোগ না নিতো, তবে রোহিঙ্গা সংকট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও এতোটা দৃষ্টি কাড়তো না।’
‘আশ্রয় যখন দিয়েছি, তখন তাদের ভালোভাবে রেখে সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেবো’- যোগ করেন তিনি।
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী বাসস্থান গড়ে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। অবতরণের পর বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো এবং ১৪ দলের নেতারাসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেন।