মুহাম্মাদ শোয়াইব : যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত পশ্চিমারা তাদের চলচ্ছিত্রে বৌদ্ধদের শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে প্রচার করেছে। কিন্তু বৌদ্ধদের নিপীড়নের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর সেই চিত্রগুলো এখন বিশ্ববাসীর সামনে ভুল প্রমাণিত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলমানদেরকে উৎখাত করার জন্য উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের আড়ালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও চরমপন্থী বৌদ্ধদের মধ্যে যে একতা চলমান তা বৌদ্ধ ধর্মের জন্য হুমকি।
মায়ানমারের সংলঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায় আবারো অবর্ণনীয় ব্যাপক সহিংসতার শিকার হয়েছে গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে শুরু হওয়া সহিংসতার পর থেকেই। তাদের ওপর চালানো হচ্ছে পাশবিক নির্যাতন আর বীভৎস হত্যাযজ্ঞ। দেশটি মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আরো একটি গণহত্যার শিকার।
বার্মার সামরিক বাহিনীর সহায়তায় চরমপন্থী বৌদ্ধদের ডেথস্কোয়াড মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে নরকে পরিণত করেছে। এই সহিংসতায় ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
বৌদ্ধদের হাতে রোহিঙ্গাদের নিগৃহিত হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। চরমপন্থী বৌদ্ধরা শ্রীলঙ্কায়ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে।
তাছাড়া সত্তরের দশরেক থাইল্যান্ডে গণহত্যার জন্য বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসীরা ধর্মীয় সমর্থণ দিয়েছে।
তৃতীয় শতাব্দীতে তিব্বতের রাজা আশোকার শাসনামল থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত চীন ও জাপানের বৌদ্ধরা হত্যা ও সহিংসতাকে সমর্থন করত।
সূত্র : আল মুসলিম