আওয়ার ইসলাম : ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বলেছেন, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সামরিক জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অবিরাম গুলি বর্ষণে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অমানবিকভাবে হত্যা ও তাদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে আরাকান ছাড়তে বাধ্য করছে। বিগত হাজার বছরের বেশি সময় ধরে রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাদের নিজস্ব আবাসভূমি হিসেবে সেখানে বসবাস করে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘ, ওআইসি-আরবলিগসহ মিয়ানমারের গণহত্যার ব্যাপারে কোনো শক্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি সাইফ মুহাম্মাদ সালমান-এর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম রিয়াদ-এর সঞ্চালনায় মিয়ানমারে গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানব বন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (৩০ আগস্ট’১৭) বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে এ মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই মুসলিমরা নির্যাতিত হোক না কেন- এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। বর্তমানে আরাকানে যে নির্যাতন শুরু হয়েছে তা অতীতের যেকোনো সময়ের রেকর্ডকে হার মানিয়ে মানবাধিকার লংঘনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মুহা. শরীফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা মাওলানা ফখরুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি এম.এম শোয়াইব, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম এনামুল হক, পশ্চিমের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি মুসলিম দেশের নেতা হিসেবে বাংলাদেশে থাকা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে দ্রুত তলব করে আরাকানের স্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বে চাপ প্রয়োগ করুন।