কেউ নাক গলালে আরও ভয়াবহ হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের
প্রকাশ:
১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:০৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলার দুসপ্তাহের মাথায় প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালাল ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, মূলত ইসরাইলজুড়ে থাকা সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ওসব হামলা চালানো হয়। তবে মূল লক্ষ্য ছিল, ইসরাইলের বিমান-বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া। যদিও লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ঘাঁটি থেকে ভূপাতিত করার দাবি করেছে তেল আবিব। কিন্তু হঠাৎ করে কেন চড়াও হলো ইরান? এই হামলা কি তবে আরেকটি বড় যুদ্ধে রূপ নেবে? কী বলছে পশ্চিমারা? সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলের বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামি বিল্পবী গার্ড। চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে থাকা ইরানি দূতাবাসে বিমান হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোর কুদস ফোর্সের সাত কর্মকর্তা নিহত হন, যার মধ্যে দুজন উচ্চ পদস্থ জেনারেলও ছিলেন। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এটিই প্রথম ইসরাইলে সরাসরি ইরানের হামলা। ৩ শর বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানায়, ইসরাইল অধিকৃত অঞ্চলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইরান। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির দাবি, ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তার দাবি ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। এতে ইসরাইলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আর ওয়াশিংটনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের ধারণা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইসরাইলের দিকে লক্ষ্য করে ছোড়া প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে থামিয়ে দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশসহ ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা বরাবরের মতো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে ইরানের হামলাকে নির্লজ্জ আক্রমণ উল্লেখ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কূটনৈতিক জবাব দেয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। উত্তেজনা আরও বাড়ার শঙ্কা ইরান জানিয়েছে, ইসরাইলি অপরাধের জন্য এই হামলা একটি সতর্কবার্তা। বড় ধরনের সামরিক অভিযান না হলেও ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের জন্য এককালীন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এটি। তবে ইরানের এ হামলার কোনো প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করা হলে আরও বড় ধরনের পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাইসি প্রশাসন। অন্যদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, প্রতিরক্ষা এবং প্রতিশোধ যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ইসরাইল। তবে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। হাআমা/ |