জামিল আহমদ
খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী, নন্দিত টিভি উপস্থাপক শাহ ইফতেখার তারিক কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৩ আগস্ট সংগঠনের নির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন হয়। এর আগে শাহ ইফতেখার তারিক সংগঠনের অভিভাবক পরিষদের সদস্য ছিলেন।
স্বরশৈলী নামের একটি আবৃত্তি কেন্দ্র পরিচালনা করেন শাহ ইফতেখার তারিক। মূলত আবৃত্তি ও উপস্থাপনা নিয়েই তিনি বেড়ে উঠেছেন। হঠাৎ করে জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় আলোচনার সৃস্টি হয়েছে।
কলরবের সারা দেশে লাখো ভক্ত রয়েছে। তাদের অভিমত, শাহ ইফতেখার তারিখের কলরবে অন্তর্ভূক্তি সংগঠননের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে।
ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে বহুল খ্যাতি পাওয়া কলরবের ২০১৭-১৯ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে প্রধান পরিচালক হিসেবে পুর্ননির্বাচিত হয়েছেন রশিদ আহমাদ ফেরদৌস। এ ছাড়া যুগ্ম পরিচালক ইমতিয়াজ মাসরুর, নির্বাহী পরিচালক পুননির্বাচিত হয়েছেন সাঈদ আহমাদ এবং যুগ্ম নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মাদ বদরুজ্জামান।
এছাড়াও সংগঠনের সাহিত্য পরিচালক হিসেবে পুননির্বাচিত হয়েছেন গল্পকার রোকন রাইয়ান।
কলরবের পরিচালক পদে যুক্ত হওয়া বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শাহ ইফতেখার তারিক আওয়ার ইসলামকে বলেন, প্রথমত আমি কোন শিল্পীগোষ্ঠীতে বিশ্বাসী ছিলাম না। মনে করতাম শিল্পী নিজেই একটি সত্ত্বা, তাদের আবার সংগঠন কেন? আইনুদ্দীন আল আজাদও খুব করে বলতেন কলরবে যুক্ত হতে। আমি না করে দিতাম।
তবে ২০১০ সালে দেশের বাইরে ভ্রমণে যাওয়ার পর প্রবাসী বাঙলীদের কাছে কলরবের জনপ্রিয়তা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। তখন মনে হয়েছে সম্মিলিত কাজের ফায়দা আছে। উপদেষ্টা পরিষদে থাকার পর আমার কাছে মনে হচ্ছিল, কলরবের যে সম্ভবনা আমি দেখেছি তার বাস্তবায়ন খুবই কম হচ্ছে।ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে কিন্ত আলো মুখ দেখছিলো খুব কম। এর কারণ হলো যথাযথ গাইড না থাকা। আমার মনে হলো ভালো গাইড পেলে সে সম্ভাবনাগুলো দ্রুত ডানা মেলবে।
কলরব নিয়ে আপনার টার্গেট কী? এম প্রশ্নে তিনি বলেন, কলরব যেন আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমাণে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে সে জায়গায় নিয়ে যাওয়া। অতীত ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারিত হয় সাংস্কৃতিক তৎপরতার মাধ্যমেই। যেমন আমাদের ভাষা আন্দোলন এর সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভূমিকা ছিলো।
কলরব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কিছু বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে, এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ ইফতেখার তারিক জানান, আমি কাউকে কখনও প্রতিপক্ষ মনে করি না। কেউ যদি আমার প্রতিপক্ষ হয় আমার কোন আপত্তি নেই। এখানে নানা রকম সমস্যা আসতে পারে, তবে সেই টিকে থাকবে যে তার কথার কমিটমেন্ট রাখতে পারেব। যে তার যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারবে।
গাজীপুর-২ আসনে নির্বাচন করবেন গাজী আতাউর রহমান, হজ থেকে ফিরেই গণসংযোগ
আরআর