আওয়ার ইসলাম: গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আসম আব্দুর রবের উত্তরার বাসয় ডিনারে অংশ নেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ সাত বিশিষ্ট রাজনৈতি নেতা।
আসম রবের বক্তব্যে ডিনারের কথা বলা হলেও মূলত এটি ছিল একটি অনানুষ্ঠানিক রাজনৈতিক বৈঠক।
বি. চৌধুরী ছাড়াও এতে আরো অংশ নেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (জামান) বাসদের সভাপতি খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রতন) জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের নেতা মাহি বি. চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক এবং বর্তমান নাগরিক ঐক্যের নেতা এসএম আকরাম হোসেন, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরাজী প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে এই বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। বড় দুই দলের নেতৃত্বাধীন জোট দুটির বিপরীতে বিকল্প একটি জোট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। সিদ্ধান্ত হয় দ্রুতই আবার বৈঠক করে এর রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।
ওই বাসা থেকে বের হয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তারা কয়েকজন রাজনীতিবিদ যে কোনো বিষয় নিয়ে বসতেই পারেন, এক সঙ্গে চা খেতেই পারেন। কিন্তু পুলিশ সেখানে দুই দফা বাধা দিতে গিয়ে ঠিক করেনি।
মাহমুদুর রহমান জানান, তারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সমসাময়িক রাজনৈতিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, মতবিনিময় করেছেন।
বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, এটা ছিল নিতান্তই একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। ঈদ-পরবর্তী একটি দাওয়াত। আমাদের পুরনো বন্ধু তার বাড়িতে রাতের খাবারের নিমন্ত্রণে ডেকেছিলেন।
পুলিশি তৎপরতায় প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এখন আমরা বন্ধুরা কি একসঙ্গে বসে খেতেও পারব না, পুরনো বন্ধুদের দেখা হতে পারবে না, এটাও কি করা যাবে না?
আবদুল মালেক রতন বলেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। মূলত এটি ছিল গেট টুগেদার, এখানে রাতের খাবারের আয়োজন ছিল। আমাদের আর বসে থাকা উচিত হবে না।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর আগে এ জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসব নেতা এ নিয়ে একাধিকবার আলোচনায়ও বসেছিলেন।
এসএস/