আওয়ার ইসলাম : কাতারের দোহায় সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির চলমান কূটনৈতিক সংকটে কাতারের অবস্থান ‘যৌক্তিক’। তিনি এই সংকট সমাধানে অগ্রগতি হবে বলে আশাবাদী।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর গত মাসে কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। দেশগুলোর অভিযোগ, চরমপন্থি গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে কাতার। পাশাপাশি উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে তাদের। তবে কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খবর অনুযায়ী বলা হয়, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির পাশে দাঁড়িয়ে টিলারসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশাবাদী এই সংকট সমাধান প্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে আমরা কিছু অগ্রগতি আনতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, নিজ অবস্থান নিয়ে কাতার বেশ স্পষ্ট ছিল। আমি এ-ও মনে করি, এসব খুবই যৌক্তিক।’ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ, উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যকার এই বিবাদ দেশটির সামরিক ও সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাড়াবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব। ইরান এখন পর্যন্ত কাতারকে সহায়তা দিচ্ছে। কাতার বলছে, জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।
দেশটির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধ হলো তাদের স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি দমানোর প্রচেষ্টার অংশ। টিলারসন ও বৃটিশ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্ক সেডউইল সোমবার কুয়েতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কুয়েত এই সংকটে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, টিলারসন এরপর অবরোধ আরোপকারী আরব দেশগুলোর নেতৃত্বে থাকা সৌদি আরবেও সফর করবেন।
-এজেড