বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মাদকাসক্তরা যেন ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান না পায়; ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : বিএনপির আন্দোলনের হুমকিকে ‘আষাঢ়ের তর্জন গর্জন’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, তারা ৮ বছরে ৮দিনও রাজপথে নামতে পারেনি। তারা বলে, ঈদের পর মাঠে নামবে। গত ৮ বছরে ১৭টা ঈদ চলে গেছে; কিন্তু মরা গাঙ্গে জোয়ার আসেনি। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে। মির্জা ফখরুল সাহেব এখন শুধু কাঁদেন। আমি বলি আপনারা তো ভাল আছেন। আপনার ওপর চোরাগোপ্তা হামলা হয়েছে। আহত হননি। আমাদের সেদিন রাজপথে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। বিএনপির আমলে বাংলাদেশ রক্তের নদী হয়েছিল। অশ্রু দরিয়া হয়ে গিয়েছিল। ২০০১-২০০৫ সালে কত গুম, খুন হয়েছিল, ভুলে গেছেন। আপনারা কাঁদছেন, আমাদের কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে গেছে। ফখরুল সাহেব ২০০১-২০০৫ সাল আর আজকের অবস্থা মিলিয়ে নিন। সেইদিন ছিল আমাদের কান্না। আর আজ আপনারা মায়াকান্না করছেন।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের ইমেজ ড্যামেজ হয়ে গেছে, ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে গেছে, জনগনের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই, যারা অসুস্থ ধারার সঙ্গে যারা থাকবেন, তারা কোন ভাবেই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকটি জরিপ করাচ্ছেন। এর মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যদের মনোনয়ন দেয়া হবে। কিন্তু এই মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা যেন ঘরের মধ্যে ঘর তৈরি না করে। যেন হানাহানি, রক্তারক্তি না হয়। যারা এ কাজ করবেন, তাদের মনোনয়ন হবে না। যশোর ঈদগাহ ময়দানে সোমবার দুপুরে যশোর জেলা ছাত্রলীগের ১৭তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের স্বকীয়তা-নিজস্বতা রয়েছে। ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোনো নেতার স্বার্থরক্ষার পাহারাদার হতে পারে না। তোমরা কোনো বিভক্তির মধ্যে যাবে না। ছাত্রলীগ এখন থেকে কাজ করবে নৌকার পক্ষে। ছাত্রলীগের প্রার্থী হবে নৌকা। কোনো বিশেষ প্রার্থীর লোক হওয়া যাবে না। ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে সদস্য সংগ্রহের ফার্স্ট টার্গেট তরুণ ভোটার। এরপর ফোকাস থাকবে নারী ভোটার। ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের কাছে যেতে হবে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনিয়মতি-অছাত্র ও মাদকাসক্তরা যেন ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান না পায়। পরে যেন না শুনি তাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটি বিলম্বিত হলে অযোগ্যরা স্থান পেয়ে যায়। এজন্য যশোরের কমিটি যশোর থেকেই ঘোষণা করতে হবে। কমিটি ঢাকায় নেওয়া হলে অযোগ্যরা কমিটিতে স্থান পেয়ে যায়। কমিটি ঢাকায় গেলে ঘাটে ঘাটে অন্ধকারের খেলা হয়। নানা লবিং হয়, কেন্দ্রীয় নেতারা ঠিকমত কাজ করতে পারে না।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সদস্য এসএম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, যশোর-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড.মনিরুল ইসলাম, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার, যশোর পৌরসভার মেয়র ও যুবলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। সম্মেলনে উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন। সভা পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল।

-এজেড


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ