আওয়ার ইসলাম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নদীর পিলার থেকে অনেক দূরে থাকার পরেও নিয়ম ভঙ্গ করে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর আশ্রাফাবাদ এলাকার আল-আকসা জামে মসজিদ ও নূর জাহান বেগম জামে মসজিদ নামক দুটি জামে মসজিদ বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যানুসারে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর বিআইডিব্লিউটিএ উলেখিত মসজিদ দুটি ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ দেয় এবং গত সপ্তাহ থেকে মসজিদ দুটি ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য মাইকিংও শুরু করে। যা ৯২ ভাগ মুসলমানের ঈমানের উপর চরম আঘাত। বিআইডিব্লিউটিএ-এর এই সিদ্ধান্ত ২০০৯ সালে হাইকোর্টোর দেওয়া রায়ের সম্পূর্ণ বিরোধী।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশে মন্দির বাঁচানেরা জন্য যদি রোড বাইপাস করা যায়, তাহলে ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে মসজিদ রক্ষায় সড়ক ও উন্নয়ন বাইপাস করা যাবে কেন? দেশের ঈমানদার জনতা জানতে চায়।
মসজিদের জায়গায় নাট্যশালা করার উদ্যোগ, মুসল্লিদের ক্ষোভ
তারা কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তার চেয়ে জালিম আর কে হতে পারে, যারা আাল্লাহর ঘরে তার নাম নিতে বাধা দেয় এবং তা উজার করে দেয়। মসজিদ আল্লাহর ঘর। দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসী উক্ত মসজিদ দুটি আবাদ করে আসছেন। স্বাভাবিক কারণে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা বিআইডিব্লিউটিএ-এর এই সিদ্ধান্ত কোন ক্রমেই মেনে নিতে পারে না।
এদেশের ঈমানদার জনতা এধরনের পদক্ষেপ রুখে দাড়াবে এবং প্রয়োজনে রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। তারা সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট উক্ত অযৌক্তিক সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার এবং মসজিদ রক্ষায় স্থানীয় মুসলিম জনতার দাবী মেনে নেওয়ার জোর দাবী জানান। মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার এসব চক্রান্ত ঈমানদার জনতা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করবে।
-এআরকে