তিনি বছর দেড়েক বিদেশে ছিলেন এই ‘সাইলেন্ট ক্রুসেট’৷বিলেতের শিক্ষার অনেকটাই সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়৷ যার মধ্যে একটা ছিল নো হর্ন৷ বড়বাজারের এই ব্যবসায়ীর সওয়ারসঙ্গী বলতে একটি মোটর বাইক আর একটি চার চাকা গাড়ি৷ কলকাতা কিংবা কলকাতার বাইরে এই দুটির মধ্যে যে কোনও একটি ভরসা তাঁর৷ আর এই দুটি গাড়িরই সামনে পিছনে লেখা আছে, ‘please give a second thought before blowing the horn. It is really required?’ ( হর্ন বাজানোর পূর্বে এক সেকেন্ড ভাবুন: আসলেই কী এর প্রযোজন আছে ? ) একদম শেষে নিজের নাম ও ফোন নম্বর লেখা৷
কৈলাস মোহতা বলেন, আমি ১৯৮৭ সালে আমেরিকা চলে যাই৷ দেড় বছর ওখানে ছিলাম৷ মাঝে মধ্যেই ওখানে গাড়ি চালাতাম৷ বিদেশে হর্ন বাজানো হয় না৷ সেই অভ্যাসটাই আমার মধ্যে রয়ে গিয়েছিল৷ ১৯৮৯-এ আমি দেশে ফিরে আসি৷ সেই থেকে এখনও আমি হর্ন না বাজিয়েই গাড়ি চালাই৷
তিনি বলেন, যখন সিগনালে লাল বাতি জ্বালানো থাকে তখন সবাই ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে থাকে৷ কিন্তু যেই সিগনাল সবুজ হয়ে যায় তখনই সবার তাড়াহুড়ো লেগে যায়৷ জোড়ে জোড়ে হর্ন বাজাতে থাকে৷ কিন্তু আমার মনে হয় হর্ন বাজিয়ে কেউ তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারে নি ৷
শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়াই যে এদেশের সংস্কৃতি সেটা জানেন কৈলাস মোহত৷ তাই হর্ন নিয়ে অনান্য চালকদের সচেতন করতে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাও খুলেছেন তিনি৷ গোটা শহরে ঘুরে ঘুরে চালকদের হাতে ওই মেসেজ লেখা পোস্টার তুলে দেওয়া হয়৷
কৈলাসজি স্বপ্ন দেখেন তাঁর শহরও একদিন ‘নো হর্ন সিটি’ হবে৷ তাঁর দেশও একদিন ‘নো হর্ন কান্ট্রি’ হবে৷ সেই স্বপ্ন সফল করতে পরিশ্রমী দুটি হাত দিয়ে সচেতনতার শিক্ষা ছড়িয়ে দিচ্ছেন কলকাতা জুড়ে৷
-এজেড