রাকিব হাসান: আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজানের রোজা। সুতরাং আজ থেকে শুরু হবে তারাবি। মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের আগমনে রমজানের আনন্দ হয়ে উঠবে দিগুণ। সারাদিন রোজা রেখে ইফতার। তারপর তারাবির জন্য মসজিদে গমন। কিন্তু অনেকে ঠিক করে উঠতে পারেন না, তারাবির ক্ষেত্রে কোনটাকে প্রাধান্য দেব, সুরা তারাবি না খতম?
এ ক্ষেত্রে অনেকেই সহজ খুঁজতে গিয়ে সুরা তারাবিকেই বেছে নেন। মসজিদে খতম তারাবির আয়োজন হলেও সেখানে না গিয়ে অফিস বা বাসায় আলাদা ইমাম রেখে সুরা তারাবির আয়োজন করা হয়। কিন্তু সওয়াবের দিক থেকে গুরুত্ব বেশি কোনটার?
কিয়ামুল লাইল বা তারাবি নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। তারাবিতে একবার কুর আন খতম দেয়া সুন্নাত। কোন মসজিদে সুরা তারাবি হয় আবার কোথাও খতম তারাবি। সুরা তারাবি বলতে কুরআনুল কারিমের নির্দিষ্ট কিছু সুরার মাধ্যমে ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়া হয়। এভাবেই পুরো রমজান মাসের তারাবি নামাজ শেষ করা হয়।
আর খতম তারাবি বলতে, রমজানের পুরো মাস জুড়ে পবিত্র কুরআনুল কারিমের খতমের মাধ্যমে তারাবির নামাজ শেষ করা হয়। তারাবির সাথে সাথে পবিত্র কুরআনেরও খতম হয়ে যায়।
সুরা ও খতম তারাবির মধ্যে একটা বিশেষ পার্থক্য হল ‘কুরআনের খতম’। যেটা খতম তারাবির মধ্যে থাকলেও, সুরা তারাবির মধ্যে নেই।
আমরা সাধারণত রমজান মাসকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। রোজা রাখার সাথে সাথে নফল ইবাদাত বেশিবেশি করার চেষ্টা করি। কেননা, মাহে রমজানের এক আমলের প্রতিদান ৭০ আমলের সমান। মাহে রমজান রোজা ছাড়াও ইবাদাত, তেলাওয়াত, নামাজ, সাদাকাতের বিশেষ মাস। এজন্য আমরা মাহে রমজানকে ইবাদাতের মাস বলি, তেলাওয়াতের মাস বলে ডাকি।
এছাড়াও পবিত্র এই মাসের সাথে কুরআনুল কারিমের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। কুরআনের ভাষায় এই পবিত্র মাসেই কুরআন নাজিল হয়েছে। সুতরাং এই মাস যেহেতু কুরআনের সাথে সম্পর্কিত, সেহেতু এই মাসে আমাদেরও কুরআনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। নিবিড় ও গভীর সম্পর্ক। ইবাদাত ও তেলাওয়াতের মাধ্যমে। আমাদের পূর্বসুরীদের ইতিহাসও তাই বলে। তাঁরা রমজানকে নিছক রোজার মাস হিসেবে দেখেননি বরং ইবাদাতের জন্য বিশেষ মৌসুম মনে করে ইবাদাতের মধ্যেই কাটিয়েছেন। বেশিবেশি তেলাওয়াত করেছেন।কুরআনুল কারিমের খতম দিয়েছেন।
এখন কথা হল, এই ব্যস্ত জীবনে চাকরিজীবিরা দিনের বেলায় কুরআন পড়ার সময় পান কম। কিন্তু সবাই তো রমজান উপলক্ষ্যে কুরআন পড়তে চায়। কুরআনের খতম দিতে চায়। যে ব্যাক্তি কুরআনের তেলাওয়াত জানে না সে ব্যক্তিও আফসোস করে, আহ! যদি এই পবিত্র মাসে কুরআনের খতম দিতে পারতাম!
সেই ইচ্ছেটা যদি তারাবির মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব হয়, তাহলে কেমন হয়? তারাবির মাধ্যমে পুরো কুরআন খতম দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।যদি সেটা খতম তারাবিহ হয়। কারণ তেলাওয়াতকারীর ন্যায় শ্রবনকারীও সমান সাওয়াবের অধিকারী হয়। এখন আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন সুরা তারাবি পড়বেনন,না খতম তারাবির মাধ্যমে পবিত্র কুরআন খতম দেয়ার সৌভাগ্য অর্জন করবেন।
শনিবার রাত থেকে তারাবি; রোজা শুরু রোববার
রোজার দিনে প্রকাশ্যে খাবার খেলে ৩ মাস জেল