ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বুধবার সোয়া ৩টার দিকে ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ সাইদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পাঠানো বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
সম্প্রতি গণমাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভার বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিম্নরূপ:
“গত ১৩ মে ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার বরাত দিয়ে ব্যাংকের জাকাত ফান্ড, শিক্ষাবৃত্তি, ইফতারের অর্থ ব্যয়, শীর্ষ নির্বাহীদের বদলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত যেসব সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। ব্যাংকের জাকাত ফান্ডের ৪শ’ ৫০ কোটি টাকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাকাত ফান্ডে প্রদানের কোন সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় গৃহীত হয়নি। এছাড়া ব্যাংকের ১৯ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের বিষয়ে খতিয়ে দেখা এবং সিএসআর সুবিধাভোগীদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আসন্ন রমজানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের ১৩ কোটি টাকার ইফতার বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে মর্মে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাও সঠিক নয়। তাছাড়া ব্যাংকের জনসংযোগ, মার্কেটিং ও সিএসআর বিভাগের প্রধানদের বদলি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা কমানোর আলোচনাই হয়নি উক্ত বোর্ড সভায়। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণ তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় সংশ্লিষ্ট সকলের আরো সহযোগিতা ও সমর্থন কাম্য।”
উপরোক্ত বক্তব্য/প্রতিবাদলিপি আপনার বহুল প্রচারিত গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
ইসলামী ব্যাংকের যাকাতের অর্থ যাবে প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে