মাহিন মাহমুদ
ওমান থেকে
যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল ওমানে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। এবারের শবে বরাত বাংলাদেশের সঙ্গে একই রাতে পালিত হল।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত সহ অন্যান্য দেশে এই রাতটিকে গুরুত্ব দেয়া হলেও আরব দেশগুলোতে এর ততটা গুরুত্ব নেই। তাদের মতে এই রাতে বাড়তি ইবাদত করার মতো কিছু নেই।
ওমানেও অনেক মসজিদে জুমুআর খুতবায় এই রাতটিকে গুরুত্ব না দেয়ার প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।
বাঙালি মুসলমান তবুও শবে বরাতের অন্যান্য ওয়াজে শরিক হতে ভুল করেনি। পবিত্র এই রাতটিতে সাধ্যমত ইবাদত করার চেষ্টা করেছেন। নিজেদের গোনাহ মাফের জন্য রোনাজারি করেছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে।
আজ বিকেলে একটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কথা হয় কুমিল্লার দেবিদ্বারের জাকির হোসাইনের সঙ্গে।
: আপনি কতদিন ধরে ওমানে আছেন?
: সাড়ে তিন বছর।
: গতকাল পবিত্র শবে বরাত ছিল। এই রাতটিকে কিভাবে পালন করলেন?
: ইশার নামাজের পর আমাদের ফ্যাক্টরির মসজিদে বয়ান হয়েছে। বয়ান শুনেছি। এরপর নফল নামাজ এবং জিকিরের মাধ্যমে রাতটি পালন করার চেষ্টা করেছি। আজকে রোজা রেখেছি।
কথা হচ্ছিল একই প্রতিষ্ঠানের এনামুল হকের সঙ্গে।
: পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আপনাদের প্রতিষ্ঠান কি কি উদ্যোগ নিয়েছে।
: কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা নিজেদের মতো করে রাতটি পালন করার চেষ্টা করেছি।
: বাংলাদেশে আমরা দেখতে পাই, শবে বরাতের পরের দিন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ছুটি ঘোষনা করে। যাতে কর্মচারিরা রাত জাগার ধকল সামলাতে বিশ্রাম নিতে পারে। আপনাদেরও কি আজ ছুটি?
: জ্বি না। কোনো ছুটি পাইনি। অন্যান্য দিনের মতোই আজও ডিউটিতে যেতে হয়েছে। শুধু দুই ঈদ ছাড়া আমাদের আর কোনো ছুটি নেই।
: কেন, আপনারা কি ছুটির আবেদন করেন নি?
: করেছিলাম। আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। প্রবাস জীবনে আমাদের আবেদনের কীইবা মূল্য আছে?
পবিত্র এই রাতটিতে দেশে থাকা পরিবার পরিজনের সাথে কুশল বিনিময় হয়েছে কিনা এই প্রশ্নে এনামুল বলেন,
কথা হয়েছে। তাদের কাছে দোয়া চেয়েছি।