আওয়ার ইসলাম: আগামী ১১ মে থেকে সুপ্রিম কোর্টে তিন তালাক ইস্যুতে শুনানি শুরু হবে। অন্যদিকে, বাবরী মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্ক উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওই ইস্যুতে মধ্যস্থতা করারও মত প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সিদ্ধান্তে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বাবরী মসজিদ-রাম মন্দির বিবাদ আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না।
অন্যদিকে, তিন তালাক ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার শুনানির সময়ে আদালতকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা তিন তালাক প্রথার বিরোধী। কারণ, এটি লিঙ্গ সমতার বিপক্ষে যায়।
সুপ্রিম কোর্টে ওই ইস্যুতে আগামী ১১ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চূড়ান্ত শুনানি হবে। তারপরেই আদালত রায় ঘোষণা করবে।
এ নিয়ে কটোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ভারতের মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড। মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সভাপতি মাওলানা রাবে হাসান নাদভি বলেছেন, ‘শরীয়া ইস্যুতে সরকারি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সমাজের প্রত্যেক অংশের মানুষের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রয়োজন এবং তা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।’
পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা ওয়ালি রহমানি বলেন, ‘দেশের কোনো মুসলিম শরীয়া আইনে পরিবর্তন চায় না।’
তিনি বলেন, ‘তিন তালাক নিয়ে আমরা একটি আচরণ বিধি চালু করতে চলেছি। এর ফলে শরীয়া আইনে নির্দিষ্ট নিয়মগুলো আরো স্পষ্ট হবে। যদি তা না মেনে শরয়ী কারণ ছাড়া এক সঙ্গে যদি কেউ তিন তালাক দেয়, তবে তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে।’
এ ব্যাপারে দেশের সব মসজিদে শুক্রবার জুমা নমাজের বক্তব্যে ইমাম সাহেবরা নতুন ওই নির্দেশনামা ঘোষণা করে দেবেন এবং সেটি বাস্তবায়নের উপরে গুরুত্ব আরোপ করবেন।
পার্সোনাল ল’ বোর্ডের নির্বাহী সদস্য ও বিশিষ্ট সিনিয়র আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি বলেন, ‘যারা তিন তালাকের অপব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
অন্যদিকে, রোববার উড়িষ্যায় বিজেপি’র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন তালাক ইস্যু উত্থাপন করে আমি চাই আমার মুসলিম বোনেরা সুবিচার পাক।
এসএস/