আন্তর্জাতিক ওলামা সংস্থা নদওয়াতুল ওলামা আল-আলামিয়্যাহ এর চেয়ারম্যান মাওলানা সাইয়্যেদ রফিকুল ইসলাম মাদানী স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় উপমহাদেশের শীর্ষ বুযুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুফতি আমীমুল ইহসান রহ. এর নাম অর্ন্তভুক্তিকরণ এবং সড়কের নামফলক থেকে তাদের নাম বাদ দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, হযরত হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন বাংলাদেশের মুসলমানদের আধ্যাত্মিক নেতা, দল-মতের উর্দ্ধে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের পরম শ্রদ্ধার পাত্র। জীবনের পরন্ত বেলায় ১৯৮১ সালে খেলাফত কায়েমের লক্ষ্যে তওবার ডাক দিয়ে রাজনীতির ময়দানে পদার্পন তাকে ধর্মীয় নেতার পরিচয় ছাপিয়ে জাতীয় নেতায় পরিণত করে। ১৯৮৭সালে ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি রাজনীতির পাশাপাশি মসজিদ, মাদরাসায় আধ্যাত্মিক ও দ্বীনি খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল- আজকে বাংলাদেশে নাস্তিক চক্র স্বাধীনতা বিরোধেী তকমা লাগিয়ে হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর চরিত্রে কালিমা লেপনের অপচেষ্টা করছে।
মাওলানা মাদানী বলেন, হাফেজ্জী হুজুর রহ. ছিলেন দেশপ্রেমিক সত্যবাদী বীরপুরুষ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাকিস্তানী হানাদারদের ‘জালেম’ উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়ে মুক্তিসংগ্রামে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৪ সালে তাকে মরনোত্তর স্বাধীনতা পদকেও ভূষিত করা হয়।
তিনি বলেন, মুফতি আমিমুুল ইহসান রহ. ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতিব, প্রখ্যাত আলেম ও বুযুর্গ ব্যক্তি। এদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে আমৃত্য খেদমত করে গেছেন। কিন্তু আজ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আদালতে মিথ্যা রিট করে কুখ্যাত শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুন গং শীর্ষ দুই বুযুর্গের সম্মানহানী করতে ওঠে পড়ে লেগেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী বিবৃতিতে আরও বলেন, আল্লাওয়ালাদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলার পরিণাম কখনোই ভাল হয়নি। অতীতে আল্লাহওয়ালাদের সাথে যারাই এধরনের বেয়াদবী ও বিদ্বেষী আচরণ করেছে, তারা ইতিহাসের অন্ধকার গলিতে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আমরা সরকারের নিকট অবিলম্বে স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা থেকে দুই শীর্ষ ইসলামী ব্যক্তিত্বের নাম বাদ দিয়ে রাজধানীর নাম ফলকে তাদের নাম পূর্ণবর্হাল করার দাবী জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আদালতে মিথ্যা রিটকারী শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুন গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
আরআর