হাওলাদার জহিরুল ইসলাম
দেওবন্দ থেকে
বাংলাদেশের অন্যতম দীনি বিদ্যাপীঠ জামিয়া রাহমানিয়া মুহাম্মাদপুর ঢাকা’র মুহতামিম ও 'বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশে'র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এক বিশেষ সফরে আজ ২৪ মার্চ দুপুরে দারুল উলুম দেওবন্দে আসেন৷ তার সঙ্গে বেফাকের একজন শুরা সদস্যসহ রয়েছেন আরো চার জন আলেম৷
জানা যায়, মুম্বাইয়ের একটি ইসলামী সেমিনারে অংশ নিতে তিনি ভারতে আসেন। সেই ফাঁকে আজ দুপুরে দেওবন্দ আসেন মাওলানা মাহফুজুল হক। দুপুর থেকেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তার সাথে সাক্ষাত করতে থাকে৷ তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কুশল বিনিময় ও দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা করেন।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসেম নোমানি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। বিকেলে দেওবন্দস্থ পশ্চিম বঙ্গীয় ছাত্র সংগঠন 'হেমায়েত ইসলাম'-এর সভাপতি একটি প্রতিনিধি দলসহ সাক্ষাত করেন৷
হেমায়েতের সভাপতি মাওলানা মাহফুজুল হককে বলেন, 'হজরত! আমরা বাংলা চর্চায় আপানাদের দেশের ইসলামি লেখকদের থেকে অনেক উপকৃত হচ্ছি৷ কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছি না৷ আমরা এ ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি৷'
মাওলানা মাহফুজ তাদের বলেন, আমরাও চাই আপনারা মাতৃভাষা (বাংলা) চর্চায় অগ্রসর হোন৷ বাংলাদেশে আজ থেকে ২০বছর আগে মাদরাসাগুলোতে বাংলা চর্চা তেমন ছিলোই না৷ আলহামদু লিল্লাহ! এখন ভাষা চর্চা বহুগুণে বেড়েছে৷ এবং তরুণরা বেশ এগিয়ে যাচ্ছে৷
আপনারাও নব উদ্যোগে শুরু করুন দেখবেন অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক এগিয়ে যেতে পারবেন৷ আর পশ্চিম বঙ্গের মাদরাসাগুলোর সাথে কেবল ভাষা চর্চার বিষয়ে যদি উভয় বাংলার মুরুব্বীগণ আগ্রহ দেখান তাহলে আমরা তা সাদরে গ্রহণ করবো৷ এতে এপার ওপার সবাই উপকৃত হবে৷ অবশ্য এর আগেও বেফাকের সাবেক মহা সচিব মরহুম মাওলানা আবদুল জাব্বার জাহানাবাদি রহ.এর সাথেও পশ্চিম বঙ্গের আলেমগণ বিষয়টি আলোচনা করেছিলেন৷
একটি নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে বাংলা ভাষা চর্চা করুন৷ পঠন পাঠনেও বাংলাকে ব্যবহার করুন৷ একটা সময়ে এসে আমাদের দেশের মতো আপনারাও বাংলায় পারদর্শী হয়ে উঠবেন বলে আশা রাখি৷’
আরআর