হাওলাদার জহিরুল ইসলাম, দেওবন্দ, ভারত
ভারতের বিশ্বখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো একটি জমকালো সাহিত্যসন্ধ্যা৷ তরুণ কবি ও লেখক মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন লেখক ইমরান হুসাইন৷
অনুষ্ঠানে ‘লেখক ও লেখালেখি' বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বক্তব্য রাখেন৷ দেওবন্দের কেন্দ্রীয় ইসলামিয়া গার্লস কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় সাহিত্য সারথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন তারুণ্যদীপ্ত লেখক হাওলাদার জহিরুল ইসলাম, আহমাদ আবদুল্লাহ, মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল গাজী, মাহদি হাসান সজিব, ইসমাঈল আনিস ও সুহাইল আহমাদ৷
প্রত্যেকে নিজের লেখালেখিতে কেনো আসা, কীভাবে আসা এবং লেখালেখি নিয়ে আগামীর পরিকল্পনা কী তুলে ধরেন সবার সামনে৷ একে একে আলোচনায় উঠে আসে আদর্শ দেশ, জাতি ও সমাজ বিনির্মাণে সাহিত্য সাধনা ও লেখালেখির কোনো বিকল্প নেই৷ আলেমদেরও 'লেখালেখি'কে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার জোর তাগিদ দেন পরিচালক মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ৷
উল্লেখ্য, দেশের বাইরে থাকলেও মাতৃভাষার টানে তারা নির্ধারিত পড়শোনার পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যচর্চায় মগ্ন রয়েছেন৷ বাংলার সাথে সাথে দিনদিন গড়ে তুলছেন উর্দু, হিন্দিভাষার লেখক, সাহিত্যিকদের সঙ্গেও অন্যরকম একটা বলয়৷ যা বাংলাদেশের জন্য সত্যিই গর্বের৷ এছাড়াও তারা উভয় বাংলার দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও সাহিত্য সাময়িকীতেও লেখালেখি করছেন নিয়মিত৷ সামাজিক অসংগতি নিরসনে নানান অবক্ষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রত্যেকেরই কয়েকটি বই বেরোবার অপেক্ষায়৷ দেশে ফিরে সাহিত্য নিয়েই কাজ করবার সদিচ্ছা জানান পরিচালকসহ অন্যান্যরা৷
-এআরকে