মুহাম্মাদ লুতফেরাব্বী
আযহার থেকে
স্বামী মৌখিকভাবে তার স্ত্রীকে তালাক দিলে তা তালাক হিসাবে গণ্য হবে। এজন্য কোন সাক্ষী বা নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই বলে আবারো নিশ্চিত করেছেন মিশরের আল আযহারের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রবিবার আযহারের গ্রান্ড ইমাম ড. আহমাদ তাইয়িবের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে উক্ত সিদ্ধান্ত নেন উলামায়ে কেরাম।
সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, কোন স্বামী যদি স্বেচ্ছায় মৌখিকভাবে তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে তালাক বা তালাকের অর্থবোধক কোন শব্দ উচ্চারণ করে তবে তা তালাক হিসাবে গণ্য হবে। এজন্য কোন সাক্ষী বা নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ থেকে এমনটিই চলে আসছে।
আলেমগণ বরেন, তবে স্বামীর উচিৎ, তালাক দিয়ে দিলে অনতিবিলম্বে তা নির্ধারিত কোর্টে নিবন্ধন করা। যাতে স্ত্রী– সন্তানদের অধিকার খর্ব না হয়। যদি কোন ব্যক্তি তালাকের পর নিবন্ধনে টালবাহানা করে তবে শাসক কর্তৃক তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির বিধান প্রণয়ন ও প্রয়োগের অধিকার রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সমাজ থেকে তালাকের ব্যপকতা কমানোর জন্য সাক্ষী বা নিবন্ধনের নিয়ম কোন কার্যকর পদ্ধতি নয়; বরং সর্বত্র দ্বীনী শিক্ষার প্রসার, যুবসমাজকে মাদক–মিডিয়ার কুপ্রভাব থেকে রক্ষা ও পারিবারিক বন্ধন মজবুত করার মাধ্যমেই তা প্রতিরোধ সম্ভব।
পাশাপাশি তালাক পরবর্তী ভরণপোষণ ও অন্যান্য বিষয়েও যথাযথ আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে সভায়।
এছাড়াও সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ তালাক বিষয়ক ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রে উলামা–মুফতিদের আরো সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করেছেন। কারণ মানুষের উপকার কোন বিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে হয় না; বরং শরিয়াহ নির্দেশিত পথ প্রদর্শনের মাঝেই উম্মাহর কল্যাণ রয়েছে।
আরআর