জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক জিওথার্মাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও বাংলাদেশের জিওথার্মাল গবেষক মোশারফ হেসেন মন্টু দাবি করেছেন, মাটির নিচের আগুণ থেকে বাংলাদেশে ৭০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘের সহযোগি সংগঠন। তাই এ প্রকল্প বাস্তবায়নে জাতিসংঘ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে আর্থিক তহবিলও জোগান দেয় বলে জানান তিনি। তিনি এজন্য জাতিসংঘ থেকে দুই হাজার কোটি টাকা আদায়ে উদ্যোগী হতে বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এডিপিকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
তিনি তার গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরে জানান, ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জিও থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট বাস্তবায়নের উপযোগী দেশ। ২০১১ সালে বাংলাদেশে জাতিসংঘ পরিচালিত জরিপেও সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মাটির নিচের বিদ্যমান প্রচণ্ড শক্তিশালী অগ্নিকুণ্ড থেকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিদ্যুৎ উপাদন প্রক্রিয়াকে জিও থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট বলা হয়। যেসব দেশে ভূমিকম্প হয় তার মাটির নিচের এই আগুণের চাপ বেশি থাকে। তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে সেই চাপ কমতে থাকে। ইউরোপ আমেরিকা চিন রাশিয়াসহ বিশ্বের ২৪টি দেশে জিও থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ উপাদন হচ্ছে। ভারত এর মধ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পাকিস্তানও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
-এআরকে