শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে

পুরুষ মশারা মানুষকে দংশন করে না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বশির ইবনে জাফর

mosqutoগ্রাম কিবা শহরে শিশু থেকে শুরু করে যুবক বৃদ্ধসহ প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছেই মশার কামড় একটি অসহ্য যন্ত্রণার নাম।

মায়েরা তাদের আদরের শিশুটিকে মশার কামড় থেকে আগলে রাখতে কত চেষ্টাই না করেন। বাজার ছেয়ে আছে মশা নিধনের কতো সরঞ্জাম। শুধু কি তাই? মশার কামড় থেকে বাঁচতে কয়েল কিংবা মশারীর আশ্রয় নেন না এমনই বা লোকই বা পাওয়া যাবে কয়জন।

অথচ এই মশা সম্পর্কে একটি আশ্চর্য সত্য আমরা অনেকেই জানি না।

আমরা মনে করে থাকি মশাদের খাদ্য শুধুই মানুষের রক্ত।

কিন্তু না। জীববিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে যে পুরুষ মশারা কখনো মানুষকে কামড়ায় না। রক্তপান করে বেঁচে থাকার দরকার হয় না তাদের।
রক্ত শুধু স্ত্রী-মশকীরাই পান করে।

তাদের কেন তবে রক্তের প্রয়োজন হয় এ বিষয়টিরও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন জীব বিজ্ঞানীগণ।

গবেষণায় দেখা গেছে, স্ত্রী-মশা তাদের ডিম্বাণুর পরিস্ফুটনের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধির জন্য নিজ দেহকে উষ্ণ রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এ কারণে তারা তাদের খাদ্য হিসেবে উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট প্রাণীদের দংশন করে সে রক্ত পান করে।

আর ঠিক একারণেই দেখা যায় বহুল পরিচিত ম্যালেরিয়া রোগটি Anopheles গণভুক্ত বিভিন্ন প্রজাতির মশকীর মাধ্যমেই বিস্তার লাভ করে। তারা তাদের লালায় এ রোগ বহন করে এবং যখন মানুষের রক্তপান করে তখন জীবাণুটি মানুষের রক্ত স্রোতের মধ্য দিয়ে মাত্র ত্রিশ মিনিটেই যকৃতে পৌঁছে যায় আর এভাবেই স্ত্রী মশা’র কামড়ে একজন মানুষ ম্যালেরিয়াক্রান্ত হয়।

এখন প্রশ্ন থেকে যায় পুরুষ মশারা তবে খাদ্য হিসেবে কী গ্রহণ করে। বিজ্ঞানীর গবেষণায় এ বিষয়টিও স্পষ্ট হয়েছে যে পুরুষ মশারা খুবই সৌখিন প্রজাতির। তারা ফুলের মধু বা এধরণের অন্যান্য উৎস হতে খাবার সংগ্রহ করে এবং কখনোই মানুষকে দংশন করে না।

শিক্ষার্থী- বিজ্ঞান বিভাগ, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ঢাকা।

আরআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ