শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র

এক টিয়া পাগল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

tia২০০৪ সালের সুনামি দেখেছে তামিলনাড়ু।  সেই ভয়ঙ্কর সুনামি কেড়ে নিয়েছিল বহু জীবন৷ সেসব দেখে শিউরে উঠেছিলেন ভারতের চেন্নাইয়ের বাসিন্দা শেখর৷ সে সময়কার দুঃখের দিনে তার কাছে এসেছিল দুটি বুনো টিয়া৷ যেন মৃত্যুপুরীতে অরণ্যের সবুজ ঝিলিক৷ কোনওরকমে তাদের একটু খেতে দিয়েছিলেন তিনি৷ তখন চারিদিকে ধংস ও মৃত্যুর ছবি৷ তারই মাঝে সেই জোড়া টিয়া বাসা বেঁধেছিল শেখরের কাছে৷ সেখান থেকে শুরু হল অন্যরকম এক গল্প।

এরপর ১০ বছর পার হয়েছে৷ সুনামির ভয়ঙ্কর মুহূর্ত ভুলতে বসেছেন সবাই৷ আর চেন্নাইয়ের ক্যামেরা মেকানিক শেখরকে ঘিরে নিয়েছে সবুজ টিয়ার দল৷ তাদের এখনও খেতে দেন শেখর৷ রোজ অন্তত ৪ হাজার টিয়া তার কাছে খেতে আসে৷ এখন ‘বার্ডমান’ হিসেবে পরিচিত হয়েছেন ৬২ বছরের শেখর৷

চেন্নাইয়ের রোয়াপেট্টা এলাকায় থাকেন শেখর৷ দিনের নির্দিষ্ট সময়ে তার বাড়ির চারিদিকে ভিড় করে হাজারে হাজারে টিয়াপাখি৷ বাড়ির কার্নিশে, ছাদে, বিদ্যুতের তার ও খুঁটিতে শুধুই টিয়া আর টিয়া৷ শেখর জানালেন, সুনামির পর দুটো আশ্রয়হীন টিয়াপাখি এসে হাজির হয়েছিল৷ তাদের কিছুটা ভাত খাইয়েছিলাম৷ পরে সেই দুটো টিয়া আরও কিছু টিয়াকে টেনে এনেছিল৷ সেই থেকে শুরু৷ রোজই টিয়া আসতে শুরু করে৷ এখন এখানে তাদেরই রাজত্ব৷

পঁচিশ বছর আগে চেন্নাইতে এসেছিলেন ক্যামেরা মেকানিক শেখর৷ চড়ুই, কাক আর কাঠবিড়ালিদের খাওয়ানোর শখ ছিল৷ এখন টিয়াদের খাওয়ানোতেই মগ্ন শেখর৷ বাড়ির ছাদে বিশেষ আয়োজন করেছেন তিনি৷ সেখানেই ভাত দেওয়া হয়৷ তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে টিয়ার দল৷

প্রতিদিন ভোর চারটের সময় উঠে পড়েন শেখর৷ প্রচুর পরিমাণ ভাত রান্না করেন৷ সেই ভাত ছাদে রাখা কাঠের পাটাতনে ছড়িয়ে দেন৷ এজন্য রোজগারের প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ হয়ে যায়৷ তাতে কোনও কষ্ট নেই প্রবীণ শেখরের৷ তিনিই টিয়া রাজ্যের মধ্যমণি৷

ভয়ঙ্কর মুহূর্ত পার করে ক্রমে স্বাভাবিক হয়েছে  চেন্নাইবাসীর জনজীবন৷ কিন্তু এখন চেন্নাইবাসী রোজই দেখেন বুনো টিয়াদের সুনামি৷ আকাশে সবুজ ঢেউ তুলে তারা রোজ ভোরে দখল নেয় মহানগরের নির্দিষ্ট মহল্লা৷

এআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ