শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করা মাদরাসা শিক্ষক কারাগারে হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি

মুসলমানদের জন্য অন্য ধর্মের উৎসবে যাওয়া জায়েজ নয়: মুফতি হিফযুর রহমান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

hifzur_rahmanদিদার শফিক: বড়দিনে খৃস্টানদের সান্তাটুপি মুসলিমদের পরাকে হারাম বলে ঘোষণা দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মুফতিরা। সাম্প্রতিকালে মুসলমানদের মাঝেও সান্তাটুপি পরার প্রবণতা দেখা যাওয়ার প্রেক্ষিতেই এই ঘোষণা। অন্য ধর্মের উৎসব সম্মন্ধীয় পোশাক পরা এবং উৎসবে যোগদান করার ব্যাপারে ইসলাম ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি কী? সত্যিই কি হারাম। বাংলাদেশের মুফতিগণ এই নিয়ে কী বলেন। এ বিষয়ে কথা হয় বিশিষ্ট আলেমে দীন, শাইখুল হাদিস, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রধান মুফতি, মুফতি হিফযুর রহমানের সঙ্গে।

মুফতি হিফযুর রহমান বলেন,  সান্তাটুপি খৃস্টধর্মীয় নিদর্শন। এ ব্যাপারে আমরাও একই কথা বলি। মুসলমানদের সান্তাটুপি পরা হারাম। কেননা রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি যে জাতির সাথে সাদৃশ্য রাখবে সে তাদেরই দলভুক্ত। সুতরাং কেউ খৃস্টধর্মের অনুকরণে সান্তাটুপি পরলে সেটা রাসুল সা. এর কথা অনুযায়ী সে খৃস্টদের দলভুক্তই হবে। ইসলাম এ ধরনের সাদৃশ্য থেকে মুসলমানকে বারণ করে।

বড়দিনের উৎসবে মুসলমানদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, মুসলমান অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এটাও হারাম। আমাদের সমাজে একটা স্লোগান প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চলছে- ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার ’ এটা মূর্খতা প্রসূত মন্তব্য। এটা বরং হওয়া উচিত- ‘ধর্ম যার যার উৎসবও তার তার’।

ফ্যাশনেবল বা আধুনিক পোশাকের প্রতি তরুণপ্রজন্মের জোঁক প্রবল। আধুনিক পোশাকে প্রায় দেখা যায় অন্য ধর্মের আবেদন বা পরিচয় বহন করে এমন কিছু নকশা বা চিহ্ন থাকে। এ ধরণের পোশাক পরার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী জানতে চাইলে মুফতি হিফযুর রহমান বলেন, অন্য ধর্মের চিহ্ন বা পরিচয় বহনকারী পোশাক মুসলমানদের পরিধান করা জায়েজ নয়। এটাও একই ক্যাটাগরির মাসআলা। আধুনিক পোশাক পরিধান করতে সমস্যা নেই যদি পোশাকে অন্য ধর্মের সাদৃশ্য প্রকাশ না পায় কিংবা অন্য ধর্মের আবেদনের প্রতি ইঙ্গীতবাহী না হয়। ভিন্ন ধর্মের কোন চিহ্ন না থাকে। তবে নারী-পুরুষ সবার পোশাক ঢিলেঢালা হতে হবে। আঁটসাট পোশাক পরা যাবে না।

ইসলাম কি পোশাকের কোনো মূলনীতি দিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌলিকভাবে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ভদ্রোচিত পোশাক হল– সতর ঢাকে এমন পোশাক হওয়া। ঢিলেঢালা হওয়া। পোশাক ছোট-খাটো বা আঁসাঁট না- হওয়া। মেয়েদের তো পুরো শরীরই সতর। সতর বলতে যতটুকু শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। তাই নারীদের পোশাকটা এমন হওয়া যাতে পুরো শরীর আবৃত হয়। এমন না হওয়া যে পোশাক পরেও না পরার মত মনে হয়। পোশাক পরেও না পরার মত থাকা এটা তো ছিল আরবের জাহেলি যুগের নারীদের স্বভাব। আধুনিক সভ্যতার যুগে এক চিলতে কাপড়ে শরীর ঢাকা মূর্খতার যুগকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার অবস্থা। তাই হুজুগে নয়, বুঝে-শুনে আধুনিক হতে হবে। আর পোশাকের ক্ষেত্রে পোশাক পরার মূল লক্ষ্য ‘সতর ঢাকা’ এটা কতটুকু হচ্ছে তা বিবেচ্য।

আরআর

 


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ