সাজিদ নূর: শহরজুড়ে রূপকথার চরিত্রের ছড়াছড়ি। হ্যামলিনের শহরের কেন্দ্রস্থলে এদের ব্যস্থতা চোখে পড়ার মতো । বিশেষ করে ইদুরে সংখ্যা কম নয়, কারণ জার্মানের অন্যতম বিক্ষাৎ রূপকথার চরিত্র হ্যামেলিনের বাশিওয়ালার প্রেক্ষাপট এই হ্যামেলিনের শহর।
সাতশ বছর আগে এ হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা শহরকে ইদুর মুক্ত করেছিল বলে মনে করা হয়। আজও তার কথা কেউ ভুলেনি। চমৎকার গল্পটি এক প্রজন্ম তার পরের প্রজন্মকে শোনায়।
শহরের এক বাসিন্দা বলেন, পালক লাগানো টুপি রংচঙ্গে পোশাকই আমার কাছে হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা। রুপকথার গল্প থেকে আমি বাঁশিওয়ালাকে চিনি। বাবা মায়ের কাছে শুনেছিলাম।
গ্রীন ভাইদের কল্যাণে হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। ত্রিশটিরও বেশি ভাষায় গল্পটি অনুবাদ করা হয়েছে। গ্রীন ভাইদের বাকি গল্পগুলিও এত জনপ্রিয় হওয়ায় হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা গল্পের ফায়দা হয়েছে। ইংরেজিভাষী দেশগুলোতে তো বটে গোটা ইউরোপ জুড়েই এমনটা দেখা যায়।
এশিয়া মহাদেশও বাঁশিওয়ালাসহ রূপকথা নিযে বিপুল উৎসাহ রয়েছে। এই উৎসাহের ফাইদা তুলছে হ্যামেলিন শহর। শহর কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুযায়ী প্রতি বছর আটত্রিশ লাখ মানুষ বাঁশিওয়ালার চিহ্ন খুজতে এখানে আসেন।
মাইকেল বয় নামের এক ব্যক্তি গত বাইশ বছর ধরে সরকারিভাবে হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা হয়ে মজা দেখান সবাইকে।এই মার্কিন নাগরিক কিন্ডার গার্ডেন থেকেই এই গল্পের সাথে পরিচিত।
তিনি বলেন, ক্লাস থ্রী থেকেই বাঁশিওয়ালার গল্প পড়ে আসছি।এই বাঁশিওয়ালা শহর থেকে ইদুর, তারপর বাচ্চদের ধরে নিয়ে যেতে পারে। এইসব কথা তখন বিশ্বাস করিনি। একদিন জানতে পারলাম সত্যি হ্যামেলিন নামে এক শহর রয়েছে জার্মানিতে। খুব ভালো লাগলো।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালাকে দেখুন ভিডিওতে