মুফতি আবদুল্লাহ
হজরত রাসুল সা. বলেন, তোমরা ‘ইসমিদ সুরমা’ ব্যবহার কর, এতে তোমাদের চোখের জ্যোতি বা চোখের পালক বৃদ্ধি পাবে। তিরমিজি শরিফ
ইবন আব্বাস রা. সূত্রে বর্ণিত নবীজি বলেছেন, তোমাদের উত্তম সুরমা হলো ইসমিদ নামক সুরমা। কেননা তা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং চুল উৎপন্ন করে । সুনান নাসাঈ
সুনান নাসায়ি গ্রন্থে উল্লেখ্য, নবীজি সা. রাতে ঘুমের আগে তিনবার সুরমা লাগাতেন। সুনান নাসায়ি ও শামায়েলে তিরমিজি
হাদিসগুলোর বক্তব্য এক ও অভিন্ন। তার মানে নবীজি সুরমা ব্যবহার করেছেন। ব্যবহারে উৎসাহিত করেছেন। সহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ি ও ইমামদের মাঝেও সুরমা ব্যবহারের বেশ প্রচলন ছিল। এখনও সৌখিনরা সুরমা ব্যবহার করেন। তবে কেউ যদি কাজটি নবীজি করেছেন ভেবে করেন, তাহলে সুন্দর্য ও সৌখিনতাও হলো সঙ্গে সুন্নতের সওয়াবও আমলনামায় যুক্ত হবে। আমরা জেনে নিই সুরমা ব্যবহারের সুন্নত পদ্ধতি। সুরমা রাতে লাগানো চায়। ঘুমের আগে। পরিমাণ মতো তিনবার। ইবনে সাদ বলেন, তিন পদ্ধতিতে সুরমা লাগানো যায়। ১. প্রত্যেক চোখে আলাদাভাবে তিনবার করে সুরমা দিতে হবে। তারমানে প্রথমে ডান চোখে তিনবার। এরপর বাম চোখে তিনবার।
২. দুই চোখে এক সঙ্গে সুরমা দেওয়া। গড়ে তিনবার হওয়া। প্রথমে ডান চোখের ডান দিক হতে একবার। এরপর বাম চোখের ডান দিক হতে একবার। পর্যায় ক্রমে তিনবারে শেষ করা। ৩. নবীজি কখনও ডান চোখে তিন বার এবং বাম চোখে দুইবার লাগাতেন। তাই চাইলে এ পদ্ধতিতেও সুরমা লাগানো যাবে। আসুন আমরা নিয়মিত সুরমা ব্যবহার করি। চোখের জ্যোতি বাড়াই। আমলনামায় যোগ করি অফুরন্ত সওয়াব।
এএ